কপ-২৬: খেলাধুলায় জলবায়ু নীতি অনুসরণ করতে ফিফার চুক্তি স্বাক্ষর
কপ-২৬ শীর্ষ সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।
গতকাল স্বাক্ষরিত এই চুক্তি অনুযায়ী খেলাধুলায় ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউজ গ্যাসের নির্গমন ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনা ও ২০৪০ সালের মধ্যে নেট শূন্য নির্গমন নিশ্চিত করবে ফিফা।
এদিনে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি, প্রিমিয়ার লিগ, ফরমুলা ই এবং বিবিসি স্পোর্টও কয়েকটি জলবায়ু চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
যখন কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্র তাদের কার্বন নিঃসরণ ও (বায়ুমণ্ডল থেকে) কার্বন অপসারণের মধ্যে একটি সামগ্রিক ভারসাম্য অর্জন করতে সক্ষম হয় তখন তাকে নেট শূন্য নির্গমন বলা হয়।
ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফাও জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কিছু লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। তবে ফর্মুলা ওয়ানের মতো এই সংস্থাও জাতিসংঘের শূন্য নির্গমনের ক্যাম্পেইনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেনি।
এই গ্রীষ্মে ১১টি দেশজুড়ে ইউরোর আয়োজন করে বেশ সমালোচিত হয়েছে উয়েফা। সমালোচিত হয়েছে নতুন মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট, ইউরোপা কনফারেন্স লিগ প্রবর্তন করেও। এই টুর্নামেন্টের ফলে মহাদেশীয় ক্লাব ফুটবল ম্যাচের সংখ্যা ২০ শতাংশ বেড়ে যাবে।
ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর কার্যক্রম তাদের স্বাক্ষরিত নীতিগুলোর সঙ্গে কতটা বিরোধপূর্ণ, তার আরেকটি দৃষ্টান্ত এটি।
এদিকে ফিফা নেট শূন্য নির্গমনের প্রতিশ্রুতি দিলেও তারা তাদের দ্বিবার্ষিক বিশ্বকাপ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে যথারীতি এগিয়ে যাচ্ছে। দ্বিবার্ষিক বিশ্বকাপের পাশাপাশি ২০২৬ সাল থেকে বিশ্বকাপের দলসংখ্যা ৪৮ এ উন্নীত করার পরিকল্পনাও করছে ফিফা। এই দুই পরিকল্পনার বাস্তবায়নে কার্বন নির্গমনের মাত্রা বহুগুণে বেড়ে যাবে।
সূত্র: বিবিসি।