কাতার বিশ্বকাপে থাকছে স্বয়ংক্রিয় অফসাইড নির্ণয় পদ্ধতি
লাইনসম্যান বা ভিএআর, কাউকেই লাগবে না। হক আই প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই জানা যাবে অফসাইডের সিদ্ধান্ত।
২০২২ বিশ্বকাপেই এই স্বয়ংক্রিয় অফসাইড নির্ণয় পদ্ধতি ব্যবহার করা শুরু করবে ফিফা। এক-দুই মৌসুমের মধ্যে প্রিমিয়ার লিগেও দেখা যেতে পারে এই প্রযুক্তি। খবর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসের।
এই হক-আই প্রযুক্তি মাঠের চার পাশে মোট ১২টি ক্যামেরা স্থাপন করে বল ও খেলোয়াড়দের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করবে, যার মাধ্যমে একটি পাস খেলার সময়ে কেউ অফসাইডে রয়েছে কি না সেটি যাচাই করবে। এই প্রযুক্তি অর্ধেক সেকেন্ডের মধ্যে অফসাইডের সিদ্ধান্ত জানাতে সক্ষম।
প্রথমে প্রযুক্তিটি আধা-স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হবে। অর্থাৎ, হক-আইয়ের সিদ্ধান্ত প্রথমে ভিএআরের কাছে যাবে, সেখানকার রেফারিরা অফসাইডে থাকা খেলোয়াড়টি বল খেলার চেষ্টা করেছে কি না সেটি বিচার করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।
তবে লক্ষ্য হচ্ছে এরকম ব্যবস্থা করা করা, যার মাধ্যমে অফসাইড হওয়ার অর্ধেক সেকেন্ডের মধ্যেই মাঠের রেফারিকে নির্ভুলভাবে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে পারবে হক-আই।
প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ চার দল-লিভারপুল, চেলসি, ম্যানচেস্টার সিটি ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মাঠে এ মৌসুমে হক-আই প্রযুক্তির পরীক্ষা চালানো হচ্ছে।
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিতব্য ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপেই প্রথমবারের মতো এই প্রযুক্তির পরীক্ষামূলক ব্যবহার চালানো হতে পারে। শুরুতে আধা-স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি নিয়েই মাঠে নামতে চাইছে ফিফা।
ফিফার বিশ্ব ফুটবল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান আর্সেন ওয়েঙ্গার এবছরের শুরুতেই এই প্রযুক্তি ব্যবহারের পক্ষে সম্মতি দিয়েছেন।
২০২৩-২৪ মৌসুমের শুরু থেকে প্রিমিয়ার লিগেও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট রেফারিরা।
সূত্র: ডেইলি মেইল।