কোহলি-স্টোকসদের মতো করে আকবরদের গড়তে চান র্যাডফোর্ড
কয়েক দিন বিরতির পর মঙ্গলবার থেকে আবারও শুরু হয়েছে হাই পারফরম্যান্স দলের (এইচপি) ক্যাম্প। এদিনই আনুষ্ঠানিকভাবে এচপির প্রধান কোচের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন টবি র্যাডফোর্ড। ক্যাম্পের ২৬ ক্রিকেটারের সঙ্গে প্রথম কয়েকদিন টেকনিক নিয়ে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন ইংলিশ এই কোচ। এর মধ্যে এইচপির কয়েকজন ক্রিকেটারকে মনে ধরেছে তার।
পছন্দ হওয়া কয়েকজন ক্রিকেটারের র্যাঙ্কিংও করতে পারবেন তিনি। কিন্তু তাদের নাম বলতে চান না র্যাডফোর্ড। ক্যাম্পের সবাইকে এভাবেই পছন্দ করতে চান তিনি। এ জন্য তরুণ ক্রিকেটারদের সময় দেওয়ার পক্ষে র্যাডফোর্ড। সময় নিয়ে ধীরে ধীরে ক্রিকেটারদের গড়ে তুলতে চান তিনি। তাদের ভিত গড়তে চান সময়ের সেরা ক্রিকেটার বিরাট কোহলি, বেন স্টোকস, স্টিভেন স্মিথ, কেন উইলিয়াসনদের মতো করে।
ভিত মজবুত হলে একজন ক্রিকেটার যেকোনো ফরম্যাটে খেলতে পারেন বলে মনে করেন র্যাডফোর্ড। আর তার কাছে ভিত হচ্ছে টেস্ট ক্রিকেট। বাংলাদেশের উঠতি ক্রিকেটারদের টেস্ট ক্রিকেটের জন্য উপযুক্ত করে তুলতে চান তিনি।
বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে র্যাডফোর্ড বলেন, 'আমি ছেলেদের সঙ্গে সব সময় টেকনিক নিয়ে কাজ করব। ওদের পরীক্ষা নেব, টেস্ট মাচের স্বাদ দেওয়ার চেষ্টা করব। আমি কাল একটি প্রেজেন্টেশনে ওদেরকে বলেছি, বিশ্বের সেরা সব ক্রিকেটারদের দিকে যদি তাকাও, কেন উইলিয়ামস, বিরাট কোহলি, বেন স্টোকস, স্টিভেন স্মিথ; ওরা সব সংস্করণে ভালো, কারণ ওরা টেস্টে ভালো। তাদের টেকনিকের মৌলিক ভিত মজবুত।'
র্যাডফোর্ড ভিত্তির ওপরই সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছেন। আফিফ-আকবরদের কোচ বলেন, 'ভিত্তি মজবুত হলে এরপর সেখান থেকে টি-টোয়েন্টি বা ৫০ ওভারের খেলায় উন্নতি করা যায়। আমি এই ছেলেদের টেকনিক মজবুত করার চেষ্টা করব। টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে নিয়ে পরে কাজ করব।'
কয়েকজন ক্রিকেটারকে পছন্দ হওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'তিন-চার জনকে আমার মনে ধরেছে। আমি তাদের র্যাঙ্কিংও করতে পারি, কিন্তু সবার সামনে তা করব না। আমার মনে হয় সেটা তাদের প্রতি অন্যায় করা হবে। কোচ হিসেবে আমি আরও সময় দিতে চাই। আমাদের মধ্যে কিছু দুই দিনের ম্যাচ, ৫০ ওভার ও ২০ ওভারের ম্যাচ আছে আগামী সপ্তাহে। আমি সেখানে আরও অনেককেই দেখতে চাই।'
জাতীয় দলের ক্রিকেটার গঠনে এইচপির ভূমিকা অনেক। সেই দায়িত্বটা ভালোভাবে পালন করতে চান র্যাডফোর্ড। দারুণ সব ক্রিকেটার গড়ে তাদেরকে জাতীয় দলে রাসেল ডমিঙ্গোর কাছে পাঠাতে চান তিনি, 'বাংলাদেশের ক্রিকেট ভবিষ্যত খুবই ইতিবাচক। এই মেধাবী খেলোয়াড়দের নিয়েই সেটা গড়ে উঠতে যাচ্ছে। অবশ্য এই ২৫/২৬ খেলোয়াড়কে নিয়ে যেতে পারব না। কেউ পারবে, কেউ যেতে পারবে না। এটাই একাডেমির স্বাভাবিক ব্যাপার।'
'১৫ বছর আগে আমি মিডলসেক্সে একটি একাডেমি চালিয়েছি, যেখানে তরুণ ইয়ন মরগান ও ডেভিড মালানকে পেয়েছিলাম। তাদের সবাই এগিয়ে যেতে পারেনি। কেউ ঝরে পড়েছে, কেউ ছোট পর্যায়ে আছে। লক্ষ্যটা হচ্ছে অধিকাংশকেই বিভিন্ন ফরম্যাটের জন্য প্রস্তুত করা এবং বাংলাদেশকে র্যাঙ্কিংয়ে ওপরে তোলা। এটাই আমার উদ্দেশ্য। আমি এই খেলোয়াড়দের রাসেলের (ডমিঙ্গো) কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে চাই যেন তারা তার জন্য কিছু করতে পারে।'
যে সুযোগ-সুবিধায় এইচপির ক্যাম্প চলছে, তাতে সন্তুষ্ট র্যাডফোর্ড। তিনি বলেন, 'আমি এখন পর্যন্ত এটা উপভোগ করছি। হাই পারফর্মেন্স সেন্টারে যে সুযোগ-সুবিধা আছে, তা বেশ ভালো। কথা বলার জন্য ভালো কক্ষ আছে, অনেক বড় ইনডোর স্কুল, বাইরে দারুণ উইকেট। আউটডোর নেটগুলোও ভালো। তরুণদের নিয়ে কাজ করার জন্য এসব দারুণ সুযোগ-সুবিধা।'