ক্যাম্পারের দারুণ লড়াইয়ের পর সিরিজ ইংল্যান্ডের
প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও হাসলো কার্টিস ক্যাম্পারের ব্যাট। এই ম্যাচেও আয়ারল্যান্ডকে পথ দেখালেন আগের ম্যাচেই অভিষেক হওয়া ডানহাতি এই অলরাউন্ডার। যদিও তার লড়াই আয়ারল্যান্ডকে হার থেকে বাঁচাতে পারেনি। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দাপুটে ভঙ্গিতেই আয়াল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড।
শনিবার সাদাম্পটনের রোজ বলে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ নিজেদের করে নিল ইয়ইন মর্গানের দল। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি ৪ আগস্ট সাউদাম্পটনেই অনুষ্ঠিত হবে।
সিরিজ হারার ম্যাচে ক্যাম্পারের ৬৮ রানের সুবাদে ৯ উইকেটে ২১২ রান তোলে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা আয়ারল্যান্ড। জবাবে শুরুটা ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের। এমনকি ১৩৭ রানের মধ্যেই ৬ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। কিন্তু ম্যাচ সেরা জনি বেয়ারস্টোর ব্যাটিং ঝড়ের পর স্যাম বিলিংস ও ডেভিড উইলি দায়িত্বশীল ব্যাটিং করায় জয় তুলে নিতে বেগ পেতে হয়নি ইংলিশদের।
২১৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে স্কোরকার্ডে কোনো রান যোগ হওয়ার আগেই বিদায় নেন ইংল্যান্ডের ওপেনার জেসন রয়। যদিও এই চাপ দলকে বুঝতে দেননি ব্যাটকে তরবারিতে পরিণত করা বেয়ারস্টো। জেমস ভিন্সকে সঙ্গে নিয়ে তাণ্ডব চালাতে থাকেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
এই জুটিতে ৭০ রান পেরিয়ে যায় ইংল্যান্ড। এরপর ভিন্স ১৬ ও টম ব্যান্টন ১৫ রান করে আউট হলেও অন্য পাশে তাণ্ডব চালাতে থাকেন বেয়ারস্টো। তার সঙ্গে যোগ দেন স্যাম বিলিংস। এই জুটি ইংলিশদের ১৩১ রানে পৌঁছে দেয়। মাত্র ৪১ বলে ১৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮২ রান করে আউট হন বেয়ারস্টো।
এরপর হঠাৎ থমকে যায় ইংলিশদের ইনিংস। ১৮তম ওভারে ইয়ইন মর্গান ও মইন আলীকে ফিরিয়ে দেন আইরিশ পেসার জশ লিটল। এই দুই ব্যাটসম্যানকে রানের খাতাও খুলতে দেননি লিটল। যদিও স্যাম বিলিংস ও ডেভিড উইলির জুটি ভাঙতে পারেনি আইরিশরা। বিলিংস ৪৬ ও উইলি ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
আয়ারল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন জশ লিটল। আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেই অলরাউন্ডার পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন ক্যাম্পার। প্রথমে ব্যাট হাতে ৬৮ রান করা এই বোলিং অলরাউন্ডার বল হাতে ২টি উইকেট নেন। বাকি উইকেটটি নেন ক্রেইগ ইয়ং।
এরআগে ব্যাটিং করতে নামা আয়ারল্যান্ড শুরুতেই উইকেট হারানোর পর পুরো ইনিংসেই ধুঁকেছে। ক্যাম্পার ছাড়া আইরিশদের কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ক্যাম্পার ৮৭ বলে ৮টি চারে মহামূল্যবান ৬৮ রান করেন। এ ছাড়া হ্যারি টেক্টর ২৮, লরক্যান টাকার ২১, সিমি সিং ২৫ ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন ২৪ রান করেন। ইংল্যান্ডের লেগ স্পিনার আদিল রশিদ ৩টি এবং ডেভিড উইলি ও সাকিব মাহমুদ ২টি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আয়ারল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২১২/৯ (কার্টিস ক্যাম্পার ৬৮ , হ্যারি টেক্টর ২৮, লরক্যান টাকার ২১, সিমি সিং ২৫, অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন ২৪; আদিল রশিদ ৩/৩৪, ডেভিড উইলি ২/৪৮, সাকিব মাহমুদ ২/৪৫)।
ইংল্যান্ড: ৩২.৩ ওভারে ২১৬/৬ (জনি বেয়ারস্টো ৮২, স্যাম বিলিংস ৪৬*, ডেভিড উইলি ৪৭*; জশ লিটল ৩/৬০, ক্যাম্পার ২/৫০)।
ফল: ইংলান্ড ৪ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: জনি বেয়ারস্টো (ইংল্যান্ড)।
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ইংল্যান্ড ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে।