ক্ষতি পোষাতে চার মাস বেতন নেবেন না রোনালদোরা
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপে স্থবিরতা নেমে এসেছে বিশ্বজুড়ে। কোনোকিছুই আর আগের মতো নেই। কর্মহীন হয়ে পড়েছে অনেক মানুষ। ঘরবন্দী হয়ে সময় কাটানো ছাড়া উপায় নেই। স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো এর প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতেও। ইতোমধ্যে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠানকে।
ঘোর সঙ্কটের এই সময়ে সবাইকেই নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। ইতালিয়ান ফুটবল ক্লাব জুভেন্টাসের ফুটবলাররা নতুন করে ভেবে কাজও শুরু করে দিয়েছেন। করোনার কারণে হওয়া আর্থিক ক্ষতি পোষাতে চার মাসের বেতন নেবেন না ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, পাওলো দিবালা, গঞ্জালো হিগুয়েনরা। ফুটবলারদের এই উদ্যোগের ব্যাপারটি জুভেন্টাস ক্লাব কৃর্তৃপক্ষই নিশ্চিত করেছে।
বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের খবর, মার্চ, এপ্রিল, মে ও জুন- এই চার মাসের বেতন নেবেন না জুভেন্টাসের ফুটবলাররা। এই চার মাসের বেতন না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জুভেন্টাসের কোচরাও। কোচ ও ফুটবলারদের চার মাসের বেতনের অর্থের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৯০ মিলিয়ন ইউরো। এই অর্থ দিয়ে ক্লাব কর্মচারীর বেতন ও অন্যান্য ফি পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছে জুভেন্টাস।
নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জুভেন্টাস কর্তৃপক্ষ বলেছে, 'বিষয়টি ফুটবলার ও কোচরা মিলে চূড়ান্ত করবে। এখান থেকে ৯০ মিলিয়ন ইউরো আসবে। দুঃসময়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য খেলোয়াড় ও কোচদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছে জুভেন্টাস কর্তৃপক্ষ।'
কঠিন এই সময়েও আর সবার মতো করে চিন্তিত হতে হচ্ছে না তারকা ফুটবলারদের। কারণ তারা যে পরিমাণে বেতন পান, কয়েক মাস বেতন না নিয়েই চালিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু অন্যদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি তেমন নয়। এ কারণেই চার মাসের বেতন অন্যদের সাহায্যে খরচ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জুভেন্টাসের ফুটবলার ও কোচরা।
এখন পর্যন্ত ইতালিতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে। দেশটিতে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৯৩ হাজার। এর মধ্যে মারা গেছেন ১০ হাজার মানুষ। আক্রান্ত হওয়া মানুষদের মধ্য থেকে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ সুস্থ হয়েছেন, ব্যাপারটি তেমনও নয়। সব মিলিয়ে ইতালিতে রীতিমতো দুর্যোগ নেমে এসেছে।
অন্যান্য দেশেও থাবা বসিয়েছে করোনা। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে স্থগিত হয়ে গেছে বিশ্বের সব খেলাধুলা। ফুটবলের শীর্ষ ৫টি লিগ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা, সিরি এ, বুন্দেসলিগা ও ফ্রেঞ্চ লিগ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও উইরোপা লিগও বন্ধ। এমনকি বিশ্ব ক্রীড়ার সবচেয়ে বড় আসরও অলিম্পিক গেমসও পিছিয়ে গেছে এক বছরের জন্য।