চলছে নেইমার-এমবাপ্পেদের গোল উৎসব
লিগ শিরোপা ঘরে উঠেছে করোনাভাইরাস প্রকোপের শুরুর দিকেই। অন্যান্য দলের মতো তখন থেকে খেলাহীন ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সেইন্ট জার্মেই। কিন্তু আগামী মাসেই শুরু হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। এভাবে বসে থাকলে তার প্রভাব খেলাতেও পড়তে পারে, এই দুশ্চিন্তা থেকে প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করেছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।
যে প্রীতি ম্যাচে রীতিমতো গোল উৎসব করে যাচ্ছেন নেইমার-এমবাপ্পেরা। আগের ম্যাচে লে হারভেকে ৯-০ গোলে উড়িয়ে দেয় পিএসজি। পরের প্রীতি ম্যাচেও গোলবন্যা বইয়ে দিয়েছে তারা। শুক্রবার দ্বিতীয় বিভাগের দল ওয়াসলন্দ-বেভেরেনকে ৭-০ গোলে হারিয়েছে তারা।
নিজেদের প্রস্তুত রাখতে বড় কোনো দলকে প্রতিপক্ষ হিসেবে বেছে নেয়নি পিএসজি। দ্বিতীয় বিভাগের দলের বিপক্ষে ম্যাচ অনুশীলন করে যাচ্ছেন নেইমার-এমবাপ্পেরা। এসব ম্যাচ খেলার সময় দর্শকদের বাহবাও পাচ্ছেন তারা। ৫ হাজার দর্শক নেইমারদের খেলা দেখার সুযোগ পাচ্ছেন।
করোনাভাইরাসের কঠিন এই সময়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে সবখানে। ক্লাব ফুটবল বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠে ফিরলেও ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। কিন্তু ফরাসি ফুটবলে দর্শকরা মাঠে ঢোকার সুযোগ পাচ্ছেন। গত ২০ জুন ফ্রান্সের সরকার জানায়, আগামী ১১ জুলাই থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার দর্শক গ্যালারিতে বসে ম্যাচ দেখতে পারবেন।
প্রীতি ম্যাচ হলেও দর্শকদের সামনে পুরনো আবহে ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে ফুটবলারদের মনে। যে স্বস্তির সঙ্গে থাকছে প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠানোর তৃপ্তিও। গোল উৎসব করে এই তৃপ্তি একটু বেশি করেই নিচ্ছেন পিএসজির ফুটবলাররা।
শুক্রবার ওয়াসলন্দ-বেভেরেনের বিপক্ষে ম্যাচের ২১ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। ২৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন পিএসজির ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার। ৪৪ মিনিটে আরও একটি পেনাল্টি পায় পিএসজি।
এবার অবশ্য পেনাল্টি কিক নেননি নেইমার। কিক নিতে গিয়ে আস্তে করে মাউরো ইকার্দির দিকে বল বাড়ান তিনি। বল পেয়ে ওয়াসলন্দ-বেভেরেনের জাল খুঁজে নেন আর্জেন্টাইন এই স্ট্রাইকার। দ্বিতীয়ার্ধে দুটি করে গোল করেন ম্যাক্সিম চুপো মোতিং। এ ছাড়া একটি করে গোল করে কিলিয়ান এমবাপ্পে ও ডিফেন্ডার মোবে সোহ।