জেনে নিন কোথায়, কত টাকায় মিলবে বাংলাদেশের জার্সি
একটি করে দিন যাচ্ছে আর বিশ্বকাপ ঘিরে বাড়ছে উত্তেজনা। আগামী ১৭ অক্টোবর শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ওমানে শুরু হতে যাওয়া প্রথম রাউন্ডের প্রথম দিনই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলের প্রথম প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড।
মাত্র কয়েকদিন বাকি থাকলেও বাংলাদেশ দলের জার্সি নিয়ে কিছু জানানো হচ্ছিল না। কেমন হতে পারে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জার্সি, তা নিয়ে ক্রিকেটমোদীদের মাঝে চলছিল আলোচনা। সোমবার সেই অপেক্ষা ফুরিয়েছে। এদিন ঢাকার একটি হোটেলে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপ জার্সি উন্মোচন করা হয়েছে।
গত শুক্রবার ওমান 'এ' দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের জার্সি দেখে অনেকটাই ধারণা মিলেছিল। সোমবার দেখা গেল, ওটাই বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জার্সি। সঙ্গে আছে অ্যাওয়ে জার্সি। ক্রিকেটভক্তদের জন্য বড় খবর, বিশ্বকাপ শুরুর আগেই বাংলাদেশের নতুন এই জার্সি গায়ে তোলার সুযোগ পাচ্ছেন তারা।
আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে জার্সি বিক্রি শুরু হচ্ছে। ফ্যাশন হাউজ আড়ংয়ের সব আউটলেটে বিক্রি হবে বাংলাদেশ দলের জার্সি। এ ছাড়া আড়ংয়ের অ্যাপ থেকেও জার্সি কেনা যাবে। ১১ অক্টোবর থেকে প্রি-অর্ডারের মাধ্যমে জার্সি কেনার সুযোগ থাকছে। ঢাকার বাইরে থেকেও আড়ং অ্যাপের মাধ্যমে জার্সি কেনা যাবে।
শুধু দেশ নয়, দেশের বাইরের ক্রিকেটপ্রেমীরাও জার্সি কেনার সুযোগ পাবেন আড়ংয়ের মাধ্যমে। অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা জার্সি কিনতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তামারা হাসান আবেদ।
জার্সির মূ্ল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪০০ টাকা। বাচ্চাদের জার্সির মূল্য কিছুটা কম। ১ হাজার টাকায় পাওয়া যাবে বাচ্চাদের জার্সি। হোম জার্সির পাশাপাশি অ্যাওয়ে জার্সি এবং অনুশীলন জার্সিও নির্ধারিত দোকান থেকে কেনা যাবে।
প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে এবারের বিশ্বকাপ জার্সি তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশের জার্সির সামনের অংশ তৈরিতে যে সুতা ব্যবহার করা হয়েছে, তা রিসাইকেল জ্যাকার্ড ফেব্রিক নামে পরিচিত। যেটি প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে তৈরি। সামনে ও পেছনের অংশ আলাদা। পেছনের অংশ বানানো হয়েছে ম্যাশ ফেব্রিক থেকে। বাতাস প্রবাহের জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের গরমের কথা বিবেচনা করেই এমন জার্সি তৈরি করা হয়েছে।