ঝড়ের মধ্যেই ওমান গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল
১০টা ৪৫ মিনিটে ওমানের বিমান, সেই হিসেব মতো হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটাররা। কিন্তু মাঝপথে খবর পান, ওমানে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ফ্লাইট পিছিয়ে গেছে। এমন খবরে ফিরে যাচ্ছিলেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু কয়েক মিনিট পরই খবর আসে, নির্ধারিত সময়েই ছাড়বে তাদের বিমান।
এরপর আবারও বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা করেন ক্রিকেটাররা। এরপরও নির্ধারিত সময়ে বিমানে চড়া হয়নি তাদের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে নির্ধারিত সময়ের পৌনে তিন ঘণ্টা পর ওমানের উদ্দেশে রওনা দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকদের বহনকারী বিমানটি রোববার রাত ১টা ৩০ মিনিটে বিমানবন্দর ছেড়ে গেছে। আইপিএল খেলতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করা সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান ৯ অক্টোবর দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।
মিরপুরের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হয় বাংলাদেশ দল। কিছু দূর যাওয়ার পর ফ্লাইট পিছিয়ে যাওয়ার খবরে ফিরে যাচ্ছিলেন তারা। বাংলাদেশ দলের যাওয়া নিয়ে অনিশ্চিয়তা তৈরি হয় ঘূর্ণিঝড় 'শাহিন'- এর কারণে মাসকাট আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সব ফ্লাইট স্থগিতের ঘোষণায়।
বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বিশ্বকাপে উজাড় করে দেওয়ার প্রত্যয়ের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমরা যাচ্ছি, সবাই দোয়া করবেন। জাতি হিসেবে আমাদের বড় সুযোগ বিশ্বকাপে ভালো করার। আমরা যেভাবে গত সিরিজগুলো খেলেছি সেভাবে দল হিসেবে খেলতে পারি তাহলে ভালো কিছু হবে।'
'আমরা চেষ্টা করব 'কোয়ালিফায়ার রাউন্ডে' ঠিকভাবে উতরে মূল পর্বে যেতে। যত বেশি সম্ভব ম্যাচ জেতা যায় সেই চেষ্টা থাকবে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমাদের আগের রেকর্ড ভালো না। এবার চেষ্টা থাকবে সেই বাধা ভাঙার।' যোগ করেন মাহমুদউল্লাহ।
অধিনায়কত্ব প্রসঙ্গে মাহমুদউল্লাহ বলেন, 'আলহামদুলিল্লাহ ভালো অনুভব করছি। এটি সম্মানের বিষয়। আমি সম্মানিতবোধ করছি। একই সঙ্গে এটা আমার জন্য অনেক বড় দায়িত্ব। সবাই মিলে চেষ্টা করব এবং সবাই যেন নিজেদের দায়িত্বটা ভাগ করে নিতে পারি, আমরা দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারি।'
কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে দুই সপ্তাহ আগে ওমানে যাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহরা। ওমানে চারদিনের অনুশীলন শেষে ৯ অক্টোবর আরব আমিরাতে যাবে বাংলাদেশ। সেখানে একদিনের কোয়ারেন্টিন করে ১১ অক্টোবর অনুশীলন করবে মাহমুদউল্লাহর দল। ১২ অক্টোবর শ্রীলঙ্কা এবং ১৪ অক্টোবর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে পরদিন ওমানে ফিরে যাবে বাংলাদেশ।
প্রথম পর্বে মাঠে নামার আগে ১৬ অক্টোবর এক বেলা অনুশীলন করবে বাংলাদেশ। ১৭ অক্টোবর স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বিশ্বকাপ মিশন। এরপর ১৯ অক্টোবর স্বাগতিক ওমান ও ২১ অক্টোবর পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। মূল পর্বের টিকেট মিললে ২২ অক্টোবর আরব আমিরাতে যাবেন মাহমুদউল্লাহরা।
সেখানে একদিনের রুম কোয়ারেন্টিন করে ২৪ অক্টোবর থেকে সুপার টুয়েলভের মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ। ২৫ অক্টোবর শারজাহতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। ২৭ অক্টোবর বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে প্রথম রাউন্ডে 'এ' গ্রুপের রানার্সআপ দলের। ৩ নভেম্বর দুবাইতে বাংলাদেশ খেলবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
৫ ও ৭ নভেম্বর ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ। বাংলাদেশের সব ম্যাচ দুবাই ও শারজাহতে। জৈব-সুরক্ষা বলয়ে বিশ্বকাপ আয়োজন করা হলেও পাঁচদিন পরপরই সবার করোনা পরীক্ষা করানো হবে।