টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে সাকিব
বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান দারুণ এক মাইলফলকের দ্বারপ্রান্তে দারুণ। আর মাত্র দশটি উইকেট পেলেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বনে যাবেন তিনি।
আইপিএল মিশন শেষে আজই বাংলাদেশ দলের বাবলে যোগ দেয়া সাকিব এই মুহূর্তে ৩০ উইকেট নিয়ে রয়েছেন সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিদের তালিকায় ৭ নম্বরে। তবে তারপরও তার পক্ষে প্রথম স্থানে চলে আসা খুবই সহজ, কেননা তার উপরে থাকা ছয় ক্রিকেটারের কেউই খেলছেন না এবারের বিশ্বকাপ।
যদি বিশ্বকাপে বল হাতে ছন্দে থাকেন, তাহলে সাকিব হয়তো খুব দ্রুতই শীর্ষস্থানটি নিজের করে নেবেন। তার এখন পর্যন্ত অর্জিত ৩০ উইকেট এসেছে ২৫ ম্যাচ থেকে, যেখানে তার গড় ১৯.৫৩ এবং ইকোনমি রেট ৬.৮৪।
এই মুহূর্তে সাকিবের চেয়ে এগিয়ে থাকা বোলাররা হলেন : দক্ষিণ আফ্রিকার ডেল স্টেইন (২৩ ম্যাচে ৩০ উইকেট), পাকিস্তানের উমর গুল (২৪ ম্যাচে ৩৫ উইকেট), শ্রীলঙ্কার অজন্তা মেন্ডিস (২১ ম্যাচে ৩৫ উইকেট), পাকিস্তানের সাঈদ আজমল (২৩ ম্যাচে ৩৬ উইকেট), শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা (৩১ ম্যাচে ৩৮ উইকেট) এবং পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি (৩৪ ম্যাচে ৩৯ উইকেট)।
ইংল্যান্ডের স্টুয়ার্ট ব্রডও সাকিবের সমান ৩০ উইকেট পেয়েছেন, কিন্তু যেহেতু তিনি সাকিবের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলেছেন, তাই তিনি রয়েছেন অষ্টম স্থানে।
সাকিবের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নায়ক আফ্রিদিকে পেছনে ফেলা।
আফ্রিদিকে ছাড়িয়ে তালিকার শীর্ষস্থানে ওঠা সাকিবের জন্য কঠিন হতে পারে। তবে বিশ্বকাপের এক আসরে ১০ উইকেট নেয়ার অতীত রেকর্ড তার রয়েছে। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই বাঁ-হাতি স্পিনার নেন ১০ উইকেট। এর আগে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনি নেন ৮ উইকেট।
শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচে পরাজয়ের পর বর্তমানে কিছুটা কোণঠাসা অবস্থাতেই রয়েছে বাংলাদেশ। রোববার স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করবে তারা, এবং এক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে তাদের ভরসার বড় অংশজুড়ে থাকবেন সাকিব।
কোলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএল ফাইনালে অবশ্য বল হাতে ভালো করতে পারেননি সাকিব। চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে তিন ওভার বল করে ৩৩ রান দেন তিনি। তবে ক্রিকেটের মেগা ইভেন্টগুলোতে বরাবরই নিজের সামর্থ্যের প্রায় সবটা মেলে ধরেন তিনি। এমনকি ২০১৯ সালের ওডিআই বিশ্বকাপেও মাত্র আট ম্যাচে ব্যাট হাতে ৬০৬ রান এবং বল হাতে ১০ উইকেটের মাধ্যমে ইতিহাস গড়েন সাকিব।
এই অভ্যাস যদি অব্যাহত রাখতে পারেন সাকিব, তাহলে নিশ্চিতভাবেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিদের তালিকায় চূড়ায় আরোহণ করবেন তিনি।