নাঈম-মুশফিকের ব্যাটে বাংলাদেশের বড় সংগ্রহ
আরও একবার ব্যর্থ লিটন কুমার দাস, আরও একবার দলের ত্রাত্র নাঈম শেখ। প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় ম্যাচের মতো সুপার টুয়েলভে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাট হাতে কাণ্ডারির ভূমিকায় থাকলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। পরে ব্যাট হাতে নিজেকে ফিরে পাওয়া মুশফিকুর রহিম খেললেন চোখ ধাঁধানো এক ইনিংস। তাতে লঙ্কানদের বিপক্ষে লড়াকু পূঁজি পেয়ে গেল বাংলাদেশ।
রোববার দুবাইতে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নাঈম ও মুশফিকের হাফ সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটে ১৭১ রান তুলেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে লঙ্কানদের বিপক্ষে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। এর আগে একবারই দলটির বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ। ২০০৭ বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে ৮৩ রানে অলআউট হয়ে ৬৪ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ।
সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আজ শুরুটা খারাপ হয়নি বাংলাদেশের। উদ্বোধনী জুটিতে ৪০ রান যোগ করেন নাঈম শেখ ও লিটন দাস। তবে স্বভাবসুলব ব্যাটিং করতে আজও ব্যর্থ লিটন। আগের তিন ম্যাচ মিলিয়ে ৪০ রান করা ডানহাতি এই ওপেনার ১৬ বলে ১৬ রান করেন থামেন।
এরপর উইকেটে যোগ দেওয়া সাকিব আল হাসানকে ব্যাট হাতে বেশি সাবলীল দেখাচ্ছিল। ৬ বলে ২টি চারে ১০ রান তুলে ফেলেন দারুণ ছন্দে থাকা বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। কিন্তু পরের বলে তার স্টাম্প উপড়ে নেন লঙ্কান পেসার চামিকা করুনারত্নে।
সাকিবের বিদায়ের চাপ দলকে বুঝতেই দেননি নাঈম ও মুশফিক। ৭৩ রানের জুটি গড়েন তারা। নাঈমের বিদায়ে এই জুটি ভাঙে। এর আগে ৫২ বলে ৬টি চারে ৬২ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া বাঁহাতি এই ওপেনার।
নাঈমের বিদায়ের পর কেবল মুশফিকর রহিমের ব্যাটিং শো চলেছে। দীর্ঘদিনের রান খরা কাটিয়ে এদিন দাপুটে ব্যাটিং করেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। মাত্র ৩২ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩৭ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। আফিফ হোসেন ৭ ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১০ রানে অপরাজিত থাকেন। একটি করে উইকেট নেন চামিকা করুনারত্নে, বিনুরা ফার্নান্দো ও লাহিরু কুমারা।