না ফেরার দেশে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার গ্রিভস
তার গড়া সব কীর্তি অনেক সময় পেরিয়ে এসেছে। তুমুল জনপ্রিয় ছিলেন না বলে এই সময়ের অনেকের কাছেই জিমি গ্রিভস নামটা সেভাবে পরিচিত নয়। কিন্তু তিনি ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি ফুটবলার, টটেনহ্যাম হটস্পারের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা। সেই গ্রিভস রোববার পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে।
৮১ বছর বয়সে মারা গেছেন ইংল্যান্ডের ১৯৬৬ বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য গ্রিভস। তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছে টটেনহ্যাম। নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতার প্রয়াণের খবর নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে ইংলিশ ক্লাবটি।
বিবৃতিতে টটেনহ্যাম জানিয়েছে, 'গ্রেট জিমি গ্রিভসের মৃত্যুর খবরে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তিনি শুধু টটেনহ্যাম হটস্পারের রেকর্ড গোলদাতাই নন, দেশের (ইংল্যান্ডের) ইতিহাসের দারুণ মার্কসম্যানও। জিমি আজ (রোববার) সকালে ৮১ বছর বয়সে নিজের বাড়িতে মারা যান।'
ইংল্যান্ড জাতীয় দলের চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলদাতা গ্রিভস। তার মৃতুতে শোক জানিয়েছে ইংল্যান্ড ফুটবল দল। এক টুইটে তারা লিখেছে, '৮১ বছর বয়সে জিমি গ্রিভসের মারা যাওয়ার খবরে আমরা শোকাহত। সে আমাদের বিশ্বকাপের অংশ, বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য। দেশের হয়ে ৫৭ ম্যাচে অসাধারণ ৪৪ গোলের মালিক তিনি। তার পরিবার, বন্ধু ও সাবেক ক্লাবের প্রতি আমাদের সমবেদনা।'
ইংল্যান্ডের সাবেক এই স্ট্রাইকার তার পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেন চেলসিতে। দলটির হয়ে অভিষেক ম্যাচেই টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে গোল করেন তিনি। চার বছরের চেলসি ক্যারিয়ারের শেষ মৌসুমে (১৯৬০-৬১) প্রথম বিভাগে ৪১ গোল করেন তিনি, যা এখনও রেকর্ড।
১৯৬১ সালে ইতালির একটি ক্লাব ঘুরে টটেনহ্যামে নাম নাম লেখান গ্রিভস। স্পার্সদের হয়ে প্রথম ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করেন তিনি। টটেনহ্যামে ১৯৬১ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ৩৭৯ ম্যাচে ২৬৬ গোল করেন গ্রিভস, যা ক্লাবটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ। ১৯৬২-৬৩ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে তার করা ৩৭ গোল এখনও টটেনহ্যামের ইতিহাসে লিগে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড।