পেশাদার বক্সিংয়ের প্রথম ম্যাচেই বিজয়ী মোহাম্মদ আলীর নাতি ওয়ালশ
নানা মোহাম্মদ আলীর রেখে যাওয়া সাদা রঙের শর্টস পরে নিজের বক্সিং ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন নিকো আলী ওয়ালশ।
ওকলাহোমা রাজ্যের ক্যাটুসায়, হার্ড রক হোটেল অ্যান্ড ক্যাসিনোতে ডেব্যুতেই নিজের প্রথম মিডলওয়েট জিতেছেন ২১ বছর বয়সী ওয়ালশ। শনিবার পেশাদার বক্সিংয়ে তার আগমণকে পরম্পরা বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
ওয়েলশের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিলেন জর্ডান উইকস। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকতে না পারায়, 'ফার্স্ট রাউন্ড-স্টপেজ'সহ বিজয়ীর বেশে মঞ্চ ছাড়েন ওয়ালশ।
নিজের ইনস্টাগ্রামে ওয়ালশ লিখেছেন, "আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং সম্মানিত বোধ করছি যে আমি সেই ইতিহাসের ধারা বজায় রেখেছি। আমাকে যারা সমর্থন দিয়েছেন, তাদের প্রত্যেককে আমি অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই। আমি আমার দাদার শর্টস পরে খেলতে নেমেছিলাম যেন রিং এর মধ্যেও আমি তার উপস্থিতি আমার মধ্যে অনুভব করতে পারি। আমি এখন গর্বভরেই বলতে পারি যে- এই অর্জনের ধারা বজায় থাকবে।"
বক্সিংয়ে সর্বকালের সেরা একজন হিসেবে খ্যাত, তিনবারের হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন মোহাম্মদ আলী দীর্ঘদিন পারকিনসন'স রোগে ভুগে ২০১৬ সালের জুন মাসে মারা যান।
আলীর নয় সন্তানের মধ্যে তার মেয়ে লায়লাও বাবার মতোই একজন বিশ্বখ্যাত বক্সিং চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।
নিকো আলী ওয়ালশ মোহাম্মদ আলীর আরেক মেয়ে রাশেদার সন্তান। সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসকে তিনি বলেন, "আমি যে খেলাই খেলি না কেন, কখনোই আমার নানার ছায়াকে এড়িয়ে যেতে পারিনি। এখন আমি এটাকে আপন করে নিতে শিখেছি। খুব কঠিন কাজ হলেও, তার সেই খ্যাতি ও বিজয়ের ধারা আমাকে বজায় রাখতেই হবে। যার ভাগ্যে যেটা লেখা আছে, সেটা মেনে নিয়ে উন্নতির জন্য আরও পরিশ্রম করলে; সময়ের সঙ্গে মানুষ আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।"
এই মুহূর্তে ওয়ালশ 'টপ র্যাংক' নামক কোম্পানির একজন বক্সার হিসেবে কাজ করছেন। ১৯৬৬ সালে বব অ্যারাম এটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং তখন থেকেই তিনি মোহাম্মদ আলীকে নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন।
ওয়ালশের বিজয়ের পর এক টুইট বার্তায় অ্যারাম লিখেন, "এই তরুণের জন্য কি জাদুকরী একটা রাতই না ছিল আজ! সে যেভাবে তার নানার ধারা বজায় রেখেছে, তা দেখতে পেলে তিনি আজ অত্যন্ত গর্বিত হতেন। পেশাদার বক্সিংয়ে তাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা 'টপ র্যাংক' তার পাশে আছি।"
- সূত্র: সিএনএন