প্রিমিয়ার লিগে শাকিল-জয়দের দিন
৭৮ রানের হার না মানা এক ইনিংস দিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি শুরু করেছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। বাংলাদেশের যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের এই সদস্য এরপর প্রায় সব ম্যাচেই রানের দেখা পেয়েছেন। কিন্তু ইনিংস বড় করা হচ্ছিল না। চার ম্যাচ পরে এসে ইনিংস বড় করতে না পারার হতাশা কাটিয়ে নিলেন জয়। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ৮৫ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছেন ওল্ড ডিওএইসএসেচর তরুণ ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
দারুণ দিন কেটেছে সালাউদ্দিন শাকিলের। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বাঁহাতি এই পেসার একাই ধসিয়ে দিয়েছেন পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে। ব্যাটসম্যানদের ফরম্যাট টি-টোয়েন্টিতেও ৩.৩ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচায় ৫টি উইকেট তুলে নেন শাকিল। সংক্ষিপ্ততম এই ফরম্যাটে এটাই শাকিলের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে ম্যাচসেরা শাকিলের দারুণ বোলিংয়ে পারটেক্সকে ১০৪ রানেই অলআউট করে দেয় শেখ জামাল। ছোট লক্ষ্য ৪ উইকেটেই পেরিয়ে যায় শেখ জামাল। ৬ উইকেটের এই জয়ে ব্যাট হাতে নেতৃত্ব দেন নাসির হোসেন, অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান, ইলিয়াস সানিরা।
নাসির ২২, সোহান ৩০ ও ইলিয়াস সানি ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন। দুটি উইকেট নেন পারটেক্সের জয়নাল ইসলাম। এরআগে পারটেক্সের হয়ে আব্বাস মুসা ২০ এবং জহুরুল ইসলাম ও ধীমান ঘোষ ১৯ রান করে করেন। শাকিল ৫টি ও ইলিয়াস সানি ২টি উইকেট নেন।
শাকিলের মতো জয়ের পারফরম্যান্স অবশ্য কাজে লাগেনি। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ৬ উইকেটে হেরে গেছে ওল্ড ডিওএসএস। প্রথম ম্যাচেও জয়ের ৭৮ রান কাজে আসেনি, ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছিল। এদিন ঝলমলে ইনিংস খেলেও ম্যাচ সেরাকে হারের স্বাদ নিতে হলো।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে ৭ উইকেটে ১৩৬ রান তোলে ডিওএইসএস। জয় ছাড়া কেউই রান করতে পারেননি। ডানহাতি তরুণ এই ব্যাটসম্যান ৫৫ বলে ৩টি চার ও ৭টি ছক্কায় ৮৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ৬ ম্যাচের ৫ ইনিংসে ব্যাটিং করা জয়ের রান ২৪১। যা এখন পর্যন্ত আসরের সর্বোচ্চ।
৪০ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করা জয় শেষ ১৫ বলে তোলেন ৩৫ রান। এর মধ্যে ছিল চারটি ছক্কা। শেষের দিকে আলিস আল ইসলাম কিছু রান করেন। ডিওএইসএসের ডানহাতি এই স্পিনার ৯ বলে ১৫ রান করেন। নাসুম আহমেদ ২টি এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুমিনুল হক একটি করে উইকেট নেন।
জবাবে ভালো শুরু না হলেও জয় তুলে নিতে বেগ পেতে হয়নি গাজী গ্রুপকে। মাহেদী হাসান ২২, সৌম্য সরকার ৩৭, মুমিনুল হক ২৭ ও মাহমুদউল্লাহ ১৯ রা করেন। ইয়াসির আলী রাব্বি অপরাজিত ২৪ রান করে জয়ের কাজটি সারেন। দুটি উইকেট নেন ডিওএইসএসের তরুণ স্পিনার রাকিবুল হাসান।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবকে ৩ রানে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। এই ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝলক দেখিয়েছেন দোলেশ্বরের ডানহাতি পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি। ডানহাতি এই পেসার মাত্র ১২ বলে ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৩৮ রান করেন। যদিও দলকে জেতাতে পারেননি তিনি। শেষ ওভারে ৩১ দরকার থাকলেও রুবেল হোসেনের ওভার থেকে ৪টি ছক্কাসহ ২৭ রান তোলেন রাব্বি।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৫১ রান তোলে প্রাইম ব্যাংক। এনামুল হক বিজয় ২৯, ম্যাচ সেরা মোহাম্মদ মিঠুন ৫৫ ও অলোক কাপালি ২৬ রান করেন। ২টি উইকেট নেন পরে ব্যাট হাতে ঝড় তোলা রাব্বি। জবাবে দোলেশ্বরের রাব্বি ছাড়া কেউই সেভাবে রান তুলতে পারেননি। মার্শাল আইয়ুব ২২, ফজলে মাহমুদ ২১ ও শরিফুল্লাহ ১৯ রান করেন। প্রাইম ব্যাংকের মুস্কাফিজুর রহমান ৩টি এবং রুবেল হোসেন ও শরিফুল ইসলাম ২টি করে উইকেট নেন।