ফিক্সিং নিয়ে আল জাজিরার তথ্যচিত্র, অভিযোগের প্রমাণ পায়নি আইসিসি
ক্রিকেট ফিক্সিং নিয়ে বছর তিনেক আগে 'ক্রিকেট'স ম্যাচ ফিক্সারস' নামে এক ডকুমেন্টারি (তথ্যচিত্র) প্রচার করে সংবাদভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা। ওই ডকুমেন্টারি প্রচারের পর তদন্ত শুরু করে আইসিসি। তিন বছর পর সেই তদন্ত শেষ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটার সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
আল জাজিরায় উঠে আসা ফিক্সিংয়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে দীর্ঘদিন তদন্ত করে কোনো প্রমাণ পায়নি আইসিসি। বিশ্বাসযোগ্যতায় ঘাটতি ও নির্ভরযোগ্য প্রমাণের অভাবে সংশ্লিষ্ট কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়নি বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে আইসিসি।
২০১৮ সালের ২৭ মে আল জাজিরায় প্রচারিত হয় ৫৪ মিনিট দৈর্ঘ্যের 'ক্রিকেট'স ম্যাচ ফিক্সারস' ডকুমেন্টারি। ডকুমেন্টারিতে দেখানো বেশ কিছু বিষয় নিয়ে তদন্ত করার প্রয়োজন অনুভব করে আইসিসি। তখনই শুরু হয় তদন্ত। কিন্তু তদন্ত শেষে সেসব বিষয়ের ভিত্তি খুঁজে পায়নি আইসিসি।
আইসিসির `ইন্টেগ্রিটি' বিষয়ক মহাব্যবস্থাপক অ্যালেক্স মার্শাল বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'ক্রিকেটে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তৈরি করা প্রতিবেদনকে আমরা স্বাগত জানাই। খেলায় এ সবের কোনো জায়গা নেই। তবে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে আমাদের কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ থাকতে হবে।'
'প্রচারিত অনুষ্ঠানে (আল জাজিরার ডকুমেন্টারি) যে দাবিগুলো করা হয়েছে, সবগুলোর মৌলিক ভিত্তি দুর্বল। আমাদের তদন্তে এমনই উঠে এসেছে। এটা অভিযোগগুলোকে অসম্ভাব্য করেছে এবং বিশ্বাসযোগ্যতায় ঘাটতি থেকে গেছে। আমাদের চারজন স্বাধীন বিশেষজ্ঞও এমনই মনে করেন।' যোগ করেন তিনি।
আল জাজিরার সেই ডকুমেন্টারিতে দুটি ম্যাচে স্পট ফিক্সিংয়ের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়। দুটি ম্যাচই ভারতের। একটি ২০১৬ সালে ভারত-ইংল্যান্ড চেন্নাই টেস্টের। আরেকটি ২০১৭ সালে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার রাঁচি টেস্টের।
বিষয়টির মূলে পৌঁছাতে চারজন স্বাধীন তদন্তকারীকে দায়িত্ব দিয়েছিল আইসিসি। এদের প্রত্যেকে বাজি ও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ। তিনটি মূল ক্ষেত্রকে বিবেচনায় নিয়ে আইসিসির তদন্ত পরিচালনা করেন তারা। ডকুমেন্টারিতে তুলে ধরা অভিযোগ, এর অংশ হওয়া সন্দেহভাজন ও ডকুমেন্টারির জন্য প্রমাণ সংগ্রহ করার পদ্ধতি; এই তিনটি বিষয় নিয়ে তদন্ত করেন চার বিশেষজ্ঞ।
তদন্ত শেষে চার বিশেষজ্ঞরই মনে হয়েছে, খেলার যে অংশগুলোতে ফিক্সিং করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে ডকুমেন্টারিতে, সেসব একেবারেই অনুমিত। কোনো যুক্তিতেই এখানে ফিক্সিং করার বিষয়টি আসে না। তাই এ নিয়ে তদন্তের কাজ আর বাড়াতে চায় না আইসিসি। তবে বাস্তব ও পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেলে আবার আবারও তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটার সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।