ফিফার দ্বিবার্ষিক বিশ্বকাপ আয়োজনের পরিকল্পনাকে তুলোধুনো করল জার্মানি ও পর্তুগাল
পৃথক বিবৃতিতে ফিফার দ্বিবার্ষিক বিশ্বকাপ আয়োজনের পরিকল্পনাকে কঠোর সমালোচনা করেছে জার্মান এবং পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশন।
দুই বছর পর পর ছেলেদের বিশ্বকাপ আয়োজিত হলে তা খেলোয়াড়দের চোটের ঝুঁকি অনেক বেশি বাড়িয়ে দিবে এবং মেয়েদের প্রতিযোগিতাগুলোকে ঢেকে দিবে বলে ফিফাকে সতর্ক করে দিয়েছে এই দুই ফেডারেশন।
গত বৃহস্পতিবার ফিফা দাবি করেছে, আরও ঘন ঘন বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য ভক্তদের সমর্থন রয়েছে তাদের সঙ্গে। কিন্তু ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা এবং তাদের দক্ষিণ আমেরিকান সমকক্ষ কনমেবল এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে অবস্থা নিয়েছে। অতিরিক্ত টুর্নামেন্ট বর্জনেরও হুমকি দিয়েছে এই দুই কনফেডারেশন।
জার্মান ফুটবল ফেডারেশন, ডিএফবি তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ফিফা নিজেদের পদাধিকার বলের বাইরে গিয়ে শুধু কয়েকজন সাবেক খেলোয়াড়দের সম্মতি নিয়ে এতো বড় একটি পরিকল্পনায় পা বাড়িয়েছে। "ইউরোপীয় ফেডারেশনদের এবং ইউরোপীয় ফুটবলের অনুমোদন ছাড়া" ফুটবলে এরকম বড়সড় পরিবর্তন কখনোই সম্ভব হবে বলেও দাবি করেছে ডিএফবি।
নারী ফুটবলের প্রতিযোগিতাগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জার্মানি। বর্তমানে বিজোড় বছরগুলোয় নারী বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়, পুরুষদের বড় টুর্নামেন্টগুলো সঙ্গে সংঘর্ষ এড়িয়ে। দুই বছরের বিশ্বকাপ চক্রটি তাই স্বাভাবিকভাবেই পুরুষদের মহাদেশীয় টুর্নামেন্টগুলোর সঙ্গে নারী বিশ্বকাপকে একই বছরে নিয়ে আসবে।
ডিএফবির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "প্রতি গ্রীষ্মেই যদি পুরুষদের বিশ্বকাপ বা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ থাকে, তাহলে পুরুষদের এই প্রতিযোগিতাগুলোর ছায়ায় ঢেকে যাবে নারী ও জুনিয়র দলের টুর্নামেন্টগুলো।"
খেলোয়াড়দের ইনজুরির ঝুঁকিকেও একটি বড় উদ্বেগের বিষয় বলে লিপিবদ্ধ করেছে ডিএফবি।
পর্তুগিজ ফেডারেশনও পর্তুগিজ লিগ এবং স্থানীয় খেলোয়াড়দের ইউনিয়নসহ অভ্যন্তরীণ অন্যান্য ফুটবল সংস্থাদের সাথে নিয়ে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে অনুরূপ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ফিফার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ১০টি কারণকে তালিকাভুক্ত করেছে তারা। যার মধ্যে রয়েছে খেলোয়াড়দের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব, পুরুষ ও মহিলাদের প্রতিযোগিতায় সংঘর্ষ ও বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতাগুলোয় প্রভাব।
বিবৃতিতে বলা হয়, "এই (তালিকাভুক্ত) বিষয়গুলো এবং আরও অন্যান্য কারণে, এমন একটি পদক্ষেপ বাস্তবায়নের পক্ষে থাকতে পারছি না আমরা।"
- সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস