চলতি বিশ্বকাপ পর্যন্ত ফিফার রেকর্ড ৭.৫ বিলিয়ন ডলার আয়
২০২২ কাতার বিশ্বকাপ উপলক্ষে করা বিভিন্ন বাণিজ্যিক চুক্তি থেকে চার বছরে রেকর্ড সাড়ে ৭ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে ফিফা। রোববার এ তথ্য জানিয়েছে ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি। খবর ব্লুমবার্গের।
২০০-র বেশি সদস্যদেশের কর্মকর্তাদের কাছে নিজের আয়ের এ তথ্য প্রকাশ করে ফিফা। ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপের চক্রের চার বছরে যে আয় করেছিল, এবারের চক্রে ফিফা তারচেয়ে ১ বিলিয়ন ডলার বেশি আয় করেছে।
বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ কাতারের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তির সুবাদে এই বাড়তি আয়ের মুখ দেখেছে ফিফা। এ বিশ্বকাপের শীর্ষ পর্যায়ের স্পন্সর হলো কাতার এনার্জি।
এছাড়া কাতারের ব্যাংক কিএনবি ও টেলিকম সন্থা ওরেদু-র মতো দ্বিতীয় সারির এবং আর্থিক প্ল্যাটফর্ম ক্রিপ্টো ডটকমের মতো তৃতীয় সারির স্পন্সরদের সঙ্গেও চুক্তি করেছে ফিফা।
এবারের বিশ্বকাপের জন্য মূল সম্প্রচার চুক্তি করা হয়েছিল সেপ ব্লাটারের সভাপতিত্বের সময়। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের ফক্স ও কাতারের বিইন স্পোর্টসের সঙ্গে চুক্তি করা হয়।
করোনা মহামারি সত্ত্বেও ফিফার আয় প্রায় ২.৫ বিলিয়ন ডলার বাড়বে। ওই অর্থে ২০২০ সালে মহামারিকালে সদস্য দেশগুলোকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেয় ফিফা।
আগামী চার বছরের চক্রে ফিফার আয় খুব সম্ভব ১০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। নারী ফুটবল নিয়ে গৃহীত নতুন আর্থিক কৌশল এবং ২০২৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর বিস্তৃত পরিসরের বিশ্বকাপের সুবাদে সংস্থাটির আয় বাড়বে।
২০২৩ সালের অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য নারী বিশ্বকাপের জন্য আলাদা স্পন্সর চুক্তি স্বাক্ষর হচ্ছে।
অন্যদিকে ২০২৬ সালের পুরুষ বিশ্বকাপে ৩২ দলের বচলে ৪৮ দল অংশ নেবে।