তিতের জন্য নেইমারের বিকল্প এখন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র!
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেয়েছে নেইমারবিহীন ব্রাজিল। সুইসদের সাথে কঠিন লড়াইয়ে ১-০ ব্যবধানে জিতে দ্বিতীয় পর্বে যাওয়ার পথটা সহজ করেছে তিতের শিষ্যরা। এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে ব্রাজিল তাদের নতুন রক্ষা কবজ ভিনিসিয়ুসের দেখা পেয়েছে, যে হয়তো তাদের মিশন হেক্সা সম্পন্ন করতে রাখতে পারে দারুণ ভূমিকা।
বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্রাজিলের হয়ে সবচেয়ে ভালো খেলেছেন রিয়াল মাদ্রিদের ২২ বছর বয়সী বিস্ময় বালক ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। দলের জন্য বেশ কিছু সুযোগ তৈরী করে দিয়েছিল তিনি। চোখে পড়েছিলেন তিন সুইস ডিফেন্ডারের। সুইস রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা যখন ভিনিকে নিয়ে ব্যস্ত তখন ক্যাসেমিরো পাশ কাটিয়ে সামনের ফাঁকা মাঠে গোল দিয়েছেন।
ব্রাজিলের জন্য ম্যাচটিকে ক্রমেই কঠিন করে তুলেছিলো সুইজারল্যান্ড, বেশ অরগানাইজড ফুটবল খেলেছে গ্রানিত জাকার দল। প্রথমার্ধে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছিলেন ভিনিসিয়াস, ক্যাসেমিরো, রাফিনিয়ারা। কিন্তু সুইস ডিফেন্স ও গোলকিপার ইয়ান সমেরকে ফাঁকি দিতে পারেনি থিয়াগো সিলভার দল। লড়াই করে ব্রাজিলকে রক্ষণভাগে ঠেকালেও আক্রমণভাগে সুযোগ পাননি এমবোলো, ভারগাস, জাকারা। ম্যাচের ৮৩ মিনিটে ক্যাসেমিরোর গোলে ১-০ ব্যবধান হয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত ব্রাজিল জিতে যায়।
সার্বিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ২-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছে ব্রাজিল। এই ম্যাচে গোড়ালিতে চোট পেয়ে দল থেকে ছিটকে যান নেইমার। কোচ তিতে তার (নেইমার) বিকল্প হিসেবে বাম পাশে কাকে খেলাবেন এই নিয়ে বেশ বিপাকে ছিলেন। তিনি পাকুয়েতাকে সম্মুখভাগে খেলতে পাঠালেও আশানুরুপ ফলাফল পাচ্ছিলেন না।
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার ছন্দে ছিলেন না পাকোয়েতা। তার দল যেন বুঝতেই পারছিলো না কিভাবে উইঙ্গারদের পায়ে বল দিতে হবে। খুব দ্রুতই তিতে বুঝতে পারলেন নেইমারের মত তেজী খেলোয়াড়ের জায়গায় দুইজন ধীর গতির মিডফিল্ডার খেলানো সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না। সে জায়গায় তিনি রিয়াল মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড রদ্রিগোকে নিয়ে আসেন বেঞ্চ থেকে।
রদ্রিগোর সাথে জুটি মিলিয়ে দারুণ ছন্দে ছিলেন ভিনিসিয়ুস, নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পেয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন যে তিনি সেরাদের একজন। গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদে তার পারফরম্যান্স তাকে ব্যালন ডি'অর জেতার লড়াইয়ে সেরা দশের মধ্যে রেখেছিল।
তরুণ বয়সের নেইমার এবং ভিনিসিয়াসের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে, দুইজন একই পজিশনে খেলেন, মাঝে মাঝে অতি উৎসাহে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে গোলমাল পাকিয়ে ফেলেন। কিন্তু, ভিনিসিয়ুস যেকোনো সময় ম্যাচে পার্থক্য করে দিতে পারেন। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৫ মিনিটে তার পা থেকে বল জালে ভিড়ালেও অফসাইডে গোলটি বাতিল হয়। গতকালের ম্যাচে ক্যাসেমিরোর পাশাপাশি ভিনির নামটিও বেশ ভালোভাবেই উঠে এসেছে।
ভিনিসিয়ুসকে নিয়ে ব্রাজিলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার সময় চলে এসেছে। যেকোনো খেলোয়াড় তারকা হয়ে উঠার যে সব গুণ থাকা দরকার তার সব আছে ভিনিসিয়াসের মধ্যে। পরবর্তী দল নির্বাচনের সময় অবশ্যই ভিনিসিয়ুসকে বিশেষ বিবেচনায় রাখবে ম্যানেজমেন্ট এমনটাই চান ভক্ত ও সমর্থকরা।
সূত্র: রয়টার্স
অনুবাদ: মাহমুদুল হাসান সাফিন