আফ্রিকা-আরবের মশাল মরক্কোর হাতে
ইতিহাসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে মরক্কো। কাতার বিশ্বকাপের শেষ আটের ম্যাচে পর্তুগালকে হারাতে পারলেই ইতিহাসের পাতায় অমরত্ব লাভ করবেন হাকিমি-জিয়েশরা। এর আগে যে কোনো আফ্রিকান দল বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে উঠতে পারেনি!
আজ মরক্কোর এই দলের অমরত্ব লাভের সামনে বাধার দেয়াল হয়ে নামবে পর্তুগাল। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো নিশ্চয়ই নিজের শেষ বিশ্বকাপ থেকে এখনই বাড়ি ফিরে যেতে চাইবেন না।
মরক্কো সহ আফ্রিকান দলগুলোর শেষ আটে উঠার নজিরই কেবল ৪ টি। ১৯৯০ এ ক্যামেরুন, ২০০২ এ সেনেগাল আর ২০১০ এ সর্বশেষ ঘানা, বিশ্বকাপে আফ্রিকার দৌড় ছিল এতটুকুই।
মরক্কোও এবারই প্রথম খেলবে বিশ্বকাপের শেষ আটে, নিজেদের দৌড় এখানেই থামানোর বিন্দুমাত্র ইচ্ছা যে তাদের নেই সেটি স্পষ্ট।
কাতার বিশ্বকাপ যেন আফ্রিকান ফুটবলে দিন বদলের স্বপ্নই দেখিয়ে গেল। সেনেগালের শেষ ষোলোয় উঠা, ব্রাজিলের বিপক্ষে ক্যামেরুনের ঐতিহাসিক জয়, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারানো তিউনিশিয়া কিংবা গ্রুপের শেষ ম্যাচেও ঘানার নক-আউটে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখা, এসব কিছুই আফ্রিকান ফুটবলে চিরস্থায়ী অর্জন হিসেবে থেকে যাবে।
মরক্কোর শেষ আটে উঠে আসাটাও কোনোভাবেই অঘটন নয়, এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচ খেলে মাত্র ১টি গোল খেয়েছে আরব-আফ্রিকান দেশটি। যেখানে গ্রুপ পর্বে তারা খেলেছে বেলজিয়াম, কানাডা এবং ব্রাজিলকে বিদায় করে শেষ চারে উঠা ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে।
শেষ ষোলোয় তো আরো বড় দৈত্য বধ করে আরব্য রজনীর রূপকথা লিখেছে অ্যাটলাসের সিংহরা।
আজ পর্তুগালকেও যে ভোগাবে মরক্কো, সেটি নিয়ে ১০০% নিশ্চিত থাকাই যায়। শেষ চারে উঠে নতুন দিগন্ত মেলে ধরে আফ্রিকা আর আরবের ফুটবলকে এক ধাপ এগিয়ে নেওয়ার পালা এবার ওয়ালিদ রেগরাগুইয়ের শিষ্যদের সামনে।
সেই সাথে সুযোগ নিজেদেরকেও অ্যাটলাস পর্বতচূড়ার অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার। পারবে কী মরক্কো?