বিকালে নেপালের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ
করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন খেলার বাইরে ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। ব্যক্তিগতভাবে ফিটনেস ও অনুশীলন চালিয়ে গেছেন ফুটবলাররা। দীর্ঘ বিরতির পর গত ২৪ অক্টোবর থেকে দলীয় অনুশীলন শুরু হয়। ম্যাচ খেলার সুযোগও হয়েছে জামাল ভুঁইয়াদের। প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে ফেরার পর্বেই এমন এক প্রতিপক্ষ মিলেছে, যাদের বিপক্ষে জিততে মরিয়া বাংলাদেশ।
নেপাল, এই দলটির নামটি শুনলে অস্বস্তিতেই পড়ে যাওয়ার কথা বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের। সর্বশেষ দুই ম্যাচে দলটির বিপক্ষে হার নিয়ে মাঠ ছাড়েন জামাল-জীবনরা। এশিয়ান গেমসে অনূর্ধ্ব-২৩ দল পর্যায়েও দলটির বিপক্ষে ভরাডুবি হয় বাংলাদেশের। সব মিলিয়ে নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচে জয়ের জন্য ক্ষুধার্ত জামালরা।
আজ বিকাল ৫ টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হতে যাওয়া ম্যাচটি জিতে প্রতিশোধের প্রথম পর্বটা সারতে চায় বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটি আগামী ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামেই অনুষ্ঠিত হবে।
সর্বশেষ তিন হারের কথা ভালোভাবেই মনে আছে বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়ার। কিছুদিন আগে জানিয়েছিলেন, এবার আর কোনোভাবেই হারা যাবে না। এই ম্যাচের আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক প্রুতিশ্রুতি দিয়েছেন জয়ে ফেরার।
দলের ফিটনেসের সমস্যাকে জয় করে নেপাল বাধা পার হতে চান জামাল, 'লম্বা সময় পর নেপালের বিপক্ষে আমরা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলব। আমরা শতভাগ ফিট নই কিন্তু আমরা গত তিন সপ্তাহ অনুশীলন করছি। আশা করছি, এ ম্যাচটি আমরা জিতব।'
'সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে খেলার জন্য ফিট হয়ে ওঠা। কিন্তু একজন খেলোয়াড় হিসেবে অবশ্যই আমি জিততে চাই। সবাই ম্যাচ জিততে চায়। আমরা নেপালের কাছে তিন ম্যাচ হেরেছি, সেটা আমার মাথায় আছে এবং আমি ম্যাচটা জিততে চাই।' যোগ করেন জামাল।
নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি ছিল ফুটবল ফেরানোর অংশ হিসেবে। কিন্তু কাতার বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের প্রিলিমিনারি ম্যাচের সূচি চূড়ান্ত হওয়ায় ভাবনায় পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশের। ম্যাচ দুটিকে কাতারের বিপক্ষে লড়াইয়ের প্রস্তুতি হিসেবে নিচ্ছে বাংলাদেশ।
জাতীয় দলের প্রধান কোচ জেমি ডে বলেছেন, 'কাতার ম্যাচের জন্য আমাদেরকে ২৩ বা ২৫ জন খেলোয়াড় প্রস্তুত করতে হবে। এখন আমরা দুটি ম্যাচ খেলব এবং কিছু খেলোয়াড় খেলার সময় পাবে। কাতারের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আমাদের আরও দুটি ম্যাচ দরকার। তাহলে গুছিয়ে নেওয়ার জন্য চারটি ম্যাচ হবে।'