বিশ্বকাপের ওপর নির্ভর করছে আইপিএলের ভাগ্য
অনেক স্থগিতের ভিড়ে ঝুলে গেছে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে জমজমাট আসর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ভাগ্যও। করোনাভাইরাসের কারণে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করা হলেও আসরটি যে সহসাই মাঠে গড়াচ্ছে না, সেটা বলেই দেওয়া যায়। যে কারণে সময় নিয়েই আইপিএল আয়োজনের কথা ভাবছে আয়োজকরা। কিন্তু সেখানেও থাকছে বিপত্তি।
আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে আইপিএল আয়োজন সম্ভব। কিন্তু অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হবে ২০ ওভারের ফরম্যাটের সবচেয়ে বড় আসর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কেবল বিশ্বকাপ পেছালেই আইপিএল আয়োজন সম্ভব। বিশ্বকাপ না পেছালে এবার আর আইপিএল অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।
আইপিএল কর্তৃপক্ষের নজর আগামী অক্টোবর-নভেম্বরেই। যদিও আয়োজক অস্ট্রেলিয়া জানিয়ে রেখেছে, পূর্ব নির্ধারিত সময়ে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় তারা। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ওপরই নির্ভর করছে আইপিএলে ১৩তম আসরের ভাগ্য।
এ বিষয়ে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) এক কর্মকর্তা বলেছেন, 'বিভিন্ন দেশের সীমান্ত লকডাউন অবস্থায় আছে। অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, তারা এটা ছয় মাস পর্যন্ত রাখবে। আন্তর্জাতিক সীমান্ত নিয়ে ভারত সরকারের কী ভাবনা, সেটা আমরা জানি না। এমন অবস্থায় কেবল অক্টোবর-নভেম্বরেই আইপিএল আয়োজন সম্ভব। কিন্তু এটা আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।'
অক্টোবর-নভেম্বরে আইপিএল আয়োজনের ব্যাপারে বিসিসিআইয়ের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, 'বর্তমান অবস্থা বিবেচনা করে আইসিসি যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পেছানোর সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমরা অক্টোবর-নভেম্বরে আয়োজন করার কথা ভাবতে পারি। সব দেশ সীমান্ত ছয় বন্ধ রাখলেও সেটা সম্ভব। কারণ ছয় মাস অক্টোবরের আগেই শেষ হবে। তবে এর জন্য করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমতে হবে, মানুষের নিয়ন্ত্রণে আসতে হবে অবস্থা।'
করোনাভাইরাসের কারণে কোনো কিছুই আর আগের মতো নেই। চেনা সবকিছুও হয়ে উঠেছে অচেনা। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে স্থগিত হয়ে গেছে বিশ্বের সব ধরনের খেলা।
সব ধরনের ক্রিকেটের পাশাপাশি ফুটবলের শীর্ষ ৫টি লিগ স্থগিত হয়ে গেছে। বন্ধ আছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইউরোপা লিগ। এক বছর করে পিছিয়ে গেছে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ, কোপা আমেরিকা ও বিশ্ব ক্রীড়ার সবচেয়ে বড় আসর অলিম্পিক গেমসও।