বিসিবিতে নির্বাচনী উত্তাপ, চলছে ভোট গ্রহণ
বুধবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন। ১০টা থেকে বিসিবি কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত। ২৫ জন পরিচালক নিয়ে বিসিবির কার্যনির্বাহী পর্ষদ গঠন করা হলেও এবার ১৬টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সাতজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন। এ ছাড়া দুজন পরিচালক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) দ্বারা মনোনিত।
বুধবার সকাল থেকে প্রার্থীদের ভক্ত-সমর্থকরা বিসিবিতে এসে ভিড় জমায়। বিসিবির নির্বাচনকে ঘিরে মিরপুর স্টেডিয়ামে উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। বেশ কয়েকজন প্রার্থীদের হয়ে স্লোগান-মিছিল করতে দেখা গেছে তাদের সমর্থকদের। টানা দুই মেয়াদে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পালন করা নাজমুল হাসান পাপনসহ নাঈমুর রহমান দুর্জয়, ইসমাইল হায়দার মল্লিকসহ বেশ কয়েকজনের পরিচালকের পক্ষে মিছিল হয়।
বিসিবি নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ১৭৩ জন হলেও ভোট দেবেন ১২৭ জন। বিভিন্ন জেলা ও বিভাগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যাওয়াতে সেখান কাউন্সিলদের ভোট দিতে হবে না। ১২৭ কাউন্সিলরের মধ্যে ৭০ জন স্বশরীরে এসে ভোট দেবেন। বাকিরা ই-ভোট ও পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন। নির্বাচিতরা চার বছরের মেয়াদে দায়িত্ব নেবেন। ভোট গণনা শেষে রাতেই আজ রাতেই প্রাথমিক ফল জানানো হবে। ৭ অক্টোবর চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হবে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনোনিত দুটি পরিচালকের পদ ছাড়া ২৩টি পদের জন্য ৩২ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। দুজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এর মধ্যে একজন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রত্যাহার না করায় তার নাম ব্যালটে রয়ে গেছে। নির্বাচনের আগের দিন মঙ্গলবার আরেক জন প্রার্থী নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। তবে ব্যালটে প্রার্থীর সংখ্যাটা ৩১ জনই।
বিসিবির পরিচালনা পর্ষদে থাকবেন ২৫ জন পরিচালক। ২৩ জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন তিনটি ক্যাটাগরি থেকে। আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি ও জালাল ইউনুস জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়নে আবারও বোর্ড পরিচালক হতে যাচ্ছেন।
সাতজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন। তারা হচ্ছেন -আ জ ম নাছির উদ্দীন ও আকরাম খান (চট্টগ্রাম বিভাগ), কাজী ইনাম আহমেদ ও শেখ সোহেল (খুলনা বিভাগ), শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল (সিলেট বিভাগ), এডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম (রংপুর বিভাগ) ও আলমগীর খান আলো (বরিশাল বিভাগ)।
সবচেয়ে বেশি ১২ পরিচালক নির্বাচিত হবেন ক্লাব ক্যাটাগরি থেকে। ১২ পদে লড়ছেন ১৬ প্রার্থী। ১৭ প্রার্থী মনোনয়নপত্র কিনে জমা দিলেও শেষ দিনে শওকত আজিজ রাসেল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এরপর নির্বাচনের আগের রাতে মাসুদুজ্জামান মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। যদিও নির্বাচনি ব্যালটে তার নাম থাকবে।
ঢাকা বিভাগের দুটি পদের জন্য লড়াই হতো মূলত চারজনের। কিন্তু মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় শেষ হওয়ার কয়েকদিন পর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান খালিদ হোসেন। ভোটের আগের দিন মঙ্গলবার রাতে কিশোরগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে মনোনয়নপত্র কেনা সৈয়দ আশফাকুল ইসলামও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। ফলে তানভীর আহমেদ টিটু (নারায়ণগঞ্জ) ও নাঈমুর রহমান দুর্জয় (মানিকগঞ্জ) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক হতে যাচ্ছেন।