বিসিবি বন্ধ, কর্মচারীদের বাসা থেকে কাজ করার নির্দেশ
ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বিস্তার এড়াতে সকল কর্মচারীকে বাসা থেকে কাজ করার নির্দেশ দেয় বিসিসিআই। এবার সেই পথে হাঁটল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)। বিসিবিতে কর্মরত সবাইকে বাসা থেকে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে বিসিবি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসে সৃষ্ট পরিস্থিতি বিবেচনায় বিসিবিতে কর্মরত সবাইকে ২২ মার্চ থেকে বাসা থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।
বিশেষ কোনো কাজের ক্ষেত্রে আলাদা ব্যবস্থা রাখছে বিসিবি। যে কাজ বিসিবির বাইরে থেকে করা সম্ভব নয়, কেবল সেই কাজ করতে বিসিবিতে যেতে পারবেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
গত বৃহস্পতিবারই এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে বিসিবি। শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার বাকি ছিল। সেদিন সংবাদমাধ্যমকে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছিলেন, 'আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আগে আমরা নিজেরাই সচেতন হব। প্রত্যেককে এবং যতটা সম্ভব বাসা থেকে না বের হওয়া উচিত। শুধু ক্রিকেটারদের নয়, যারা বোর্ডে আছে তাদের জন্যও প্রযোজ্য। জরুরী কাজ ছাড়া তারা যেন বের না হয়।'
করোনা সতর্কতায় গত সোমবার দেশের সব খেলাধুলা স্থগিত ঘোষণা করে সরকার। এমনকি আন্তর্জাতিক ইভেন্ট থাকলেও সেটা এপ্রিলের পর আয়োজন করার অনুরোধ জানান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
এমন ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা স্থগিত করে বিসিবি। এরপর গত বৃহস্পতিবার অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব ধরনের ক্রিকেট স্থগিত করা হয়। এর আগেই স্থগিত করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এশিয়া একাদশ-বিশ্ব একাদশের মধ্যকার দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
বিশ্ব ক্রিকেটেও সব খেলা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় এক ম্যাচ খেলে দেশে ফিরে গেছে নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ডের শ্রীলঙ্কা সফর স্থগিত হয়ে গেছে। ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে জমজমাট টি-টোয়েন্টি আসর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) স্থগিত করা হয়েছে। শেষ পর্যায়ে থাকা পাকিস্তান সুপার লিগও (পিএসএল) শেষ করা যায়নি করোনা আতঙ্কে।