ভ্যাকসিন-বিরোধীদের মাতাল গাড়িচালকের সঙ্গে তুলনা করলেন ক্লপ
ভ্যাকসিন নিতে অস্বীকৃতি জানানো ব্যক্তিদের 'মাতাল গাড়িচালকে'র সঙ্গে তুলনা করে একহাত নিয়েছেন লিভারপুল ম্যানেজার ইয়ুর্গেন ক্লপ। আশেপাশের অন্য কেউ কোভিড আক্রান্ত হলেও তারাই দায়ী বলে মন্তব্য করেন এই জার্মান।
লিভারপুল বস বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতামত অমান্য করে যারা এখনো ভ্যাকসিন-বিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছেন, তারা বাকি জনসাধারণের জন্য হুমকিস্বরূপ। ভ্যাকসিন নেওয়া বাধ্যতামূলক করা মানেই যে ব্যক্তিস্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে, এর পেছনে কোনো যুক্তি নেই।
প্রিমিয়ার লিগের অর্ধেক ফুটবলার এরই মধ্যে পূর্ণ ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে লিভারপুল স্কোয়াডের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে খুব বেশি পরিশ্রম করতে হয়নি এই কোচকে।
'আমাদের ৯৯ শতাংশ জনই ইতোমধ্যে ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এর জন্য আমাকে খেলোয়াড়দের বুঝিয়ে মানাতে হয়নি। বরং তারা নিজেরা স্বাভাবিকভাবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমাকে একজন খেলোয়াড়কেও ব্যক্তিগতভাবে ডেকে বোঝাতে হয়নি যে, আপনাকে ভ্যাকসিন নিতে হবেই,' বলেন ক্লপ।
এদিকে ইংলিশ কোচ গ্যারেথ সাউথগেট জানিয়েছেন, তরুণদের ভ্যাকসিন নিতে উৎসাহিত করার বার্তা রেকর্ড করায় তিনি কটুক্তির শিকার হয়েছেন। অন্যদিকে ক্লপ তার স্বাভাবিক নীতি অনুযায়ী, খেলার মাঠেই কনসালটিং স্পেশালিস্টদের ডেকে এনেছেন।
ক্লপের ভাষ্যে, 'যখন নিজে কিছু জানি না, তখন বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিই। তাই আমি আমার বহুদিনের পরিচিত ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে জানতে চেয়েছি, এই অবস্থায় আমাদের কী করা উচিত?'
তিনি আরও বলেন, "আমি যদি বলি ভ্যাকসিন নিয়েছি, লোকে বলে, 'আপনি আমাকে ভ্যাকসিন নিতে বলছেন কেন?' এটা আসলে মাতাল হয়ে গাড়ি চালানোর মতো একটা ব্যাপার! আমি দুটো বিয়ার খেয়েও হয়তো গাড়ি চালাতে পারব। তবু আইন অনুযায়ী, মাতাল হয়ে গাড়ি চালানো নিষেধ। কেন? কারণ এই আইন আমাকে রক্ষা করার জন্য নয়; বরং রাস্তায় অন্য যারা আছেন, তাদেরকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য, যেন আমি মাতাল হয়ে তাদের গাড়িচাপা না দেই। আর এই নিয়ম তো আমরা ঠিকই মেনে চলি!"
ক্লপ মনে করেন না ভ্যাকসিন নিতে বলা মানে কারও ব্যক্তিস্বাধীনতা খর্ব করা। 'যদি তাই হতো, তাহলে মাতাল হয়ে গাড়ি চালাতে দেওয়াও স্বাধীনতা,' বলেন তিনি।
ক্লপ ভ্যাকসিন নেওয়ার ব্যাপারে সবাইকে আরও খোলামেলা আলাপ করার আহ্বান জানান, যেন মানুষ এর গুরুত্ব বুঝতে পারে।
-
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান