মাঠের টানে ছুটে গেলেন মুশফিক
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম; অন্য আর দশটি ভেন্যুর মতো একটি। কিন্তু বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কাছে তেমন নয়। হোম অব ক্রিকেট নামে পরিচিত এই মাঠটি বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সবচেয়ে প্রিয়। বর্তমানে খেলা প্রায় সব ক্রিকেটারের ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় কেটেছে এই মাঠে।
মুশফিকুর রহিমের বেলাতেও ব্যতিক্রম নয়। যেকোনো ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি জয় পাওয়া মাঠটি উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যানের কাছেও প্রিয়। কিন্তু প্রিয় এই মাঠেই দীর্ঘদিন যেতে পারছেন না মুশফিক। করোনাভাইরাসের প্রকোপে বিরাণভূমি হয়ে পড়ে আছে মিরপুর স্টেডিয়াম। নিয়মিত পরিচর্যা হলেও মাঠের সবুজ ঘাসে পড়ছে না ক্রিকেটারদের পা। চিন্তা-ভাবনা করলেও পরিস্থিতি বিবেচনায় অনুশীলন শুরুর সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না বিসিবি।
সর্বশেষ মার্চের মাঝামাঝি সময়ে মিরপুর স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন মুশফিক। মাঝে লম্বা সময় চলে গেলেও মাঠে যাওয়া হয়নি তার। এ সময়ে প্রায়ই মাঠকে মিস করার কথা জানিয়েছেন জাতীয় দলের ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। শেষমেষ নিজেকে আর বেঁধে রাখতে পারলেন না মুশফিক। প্রিয় মাঠের টানে চলে গেলেন মিরপুরে।
মিরপুর স্টেডিয়ামের মূল মাঠে দাঁড়িয়ে একটি ছবি তুলেছেন মুশফিক। ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, 'আসসালামু আলাইকুম। চমৎকার এই ভেন্যুটিকে মিস করছি। শুধু মহান সৃষ্টিকর্তা জানেন, কখন আমরা আবার অনুশীলন শুরু করতে পারব।' ড্রেসিং রুমে কিছু ক্রিকেট সামগ্রী ছিল তার। এই সুযোগে সেগুলো বাড়িতে নিয়ে গেছেন মুশফিক।
খেলা কিংবা অনুশীলন; সবখানেই সিরিয়াস মুডে দেখা মেলে মুশফিকের। খেলা-অনুশীলন না থাকলেও অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার একই মেজাজে থাকেন। অনুশীলনে সবচেয়ে বেশি সময় কাটান তিনি। আনুষ্ঠানিক ছুটির মধ্যেও মিরপুরে মুশফিককে অনুশীলনে দেখা যায়। এ ছাড়া নেটে সবচেয়ে বেশি ব্যাটিং করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন মাঠে যাওয়া হয় না মুশফিকের। সেই মার্চ থেকে ঘরবন্দি অবস্থায় সময় কাটছে তার। বাইরে যাওয়ার সুযোগ না থাকায় ঘরে ফিটনেস নিয়ে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু এতে মন ভরছে না মুশফিকের। ব্যাট হাতে মাঠে নামতে চান তিনি।
বন্দি অবস্থার শুরুর দিকেই তামিম ইকবালের লাইভে মুশফিক বলেছিলেন, 'এসএসের আমার নতুন ব্যাটগুলো, খুব কান্না করছে। কবে যে ব্যাটিং করব।' এরপর তামিমের লাইভেই মুশফিককে নিয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেন, 'এভাবে আর কয়েকদিন গেলে ও হয়তো মারাই যাবে।'