রেকর্ড ছুঁয়ে গর্বিত মেসি
কোপা আমেরিকায় শুরুটা ভালো ছিলো না। তবে পরের দুই ম্যাচে হাসি উঠেছে লিওনেল মেসিদের মুখেই। এক ড্র ও দুই জয়ে লাতিন অঞ্চলের সবচেয়ে জমজমাট আসরটির কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেছে আর্জেন্টিনা।
শেষ আট নিশ্চিতের দিন দারুণ এক রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেছেন মেসি। দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা হাভিয়ের মাসচেরানোর রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। বলিভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচেই রেকর্ডটি মেসির হয়ে যাবে।
আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ডটি কয়েক বছর ধরে মাসচেরানোর দখলে ছিল। ২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলে পা রাখা সাবেক এই ডিফেন্সিভ মিড ফিল্ডার ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে দেশের হয়ে ১৪৭ ম্যাচ খেলেছেন।
মাসচেরানোর দুই বছর পর আর্জেন্টিনা দলে অভিষেক হওয়া মেসিও খেলে ফেললেন ১৪৭টি ম্যাচ। দেশের হয়ে মেসি গোল করেছেন ৭৩টি, যা সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। ৪৭টি গোল নিয়ে দুই নম্বরে সাবেক স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা।
দেশের প্রতিনিধিত্ব করে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলায় স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত মেসি। যার রেকর্ড ছুঁলেন তিনি, সেই মাসচেরানো আবার তার দীর্ঘদিনের পথচলার সঙ্গী। কেবল আর্জেন্টিনা দলেই নয়, বার্সেলোনাতেও দুই বন্ধু কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছেন অনেকটা সময়। এ কারণে যেন একটু বেশিই ভালো লাগা কাজ করছে মেসির।
প্যারাগুয়ে ম্যাচের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেসি লিখেছেন, 'এগিয়ে চলার পথে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জয়। আমার প্রিয় বন্ধু মাসচেরানোর সমান আকাশী-নীল জার্সি পরতে পেরে আমি গর্বিত। তাকে আমি ভালোবাসি, সব সময় সম্মান এবং শ্রদ্ধা করি।'
যে ম্যাচে রেকর্ড ছুঁলেন মেসি, এই ম্যাচে তার খেলার কথাই ছিল না। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে তাকে বিশ্রাম দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন লিওনেল স্কালোনি। যদিও শেষ পর্যন্ত ঝুঁকি নেননি আর্জেন্টাইন এই কোচ। 'এ' গ্রুপের শীর্ষে থাকা আর্জেন্টিনা গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ২৯ জুন বলিভিয়ার মুখোমুখি হবে।