সবার আগে সেমি-ফাইনালে পাকিস্তান
এবার কি বিশ্ব মঞ্চে ভারতের বিপক্ষে পারবে পাকিস্তান? এবার প্রশ্নটা ছিল বড় করেই। সেটার উত্তরও পাকিস্তান দিয়েছে বড় করে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করে পাকিস্তান। এরপর আর থামেনি তাদের জয়রথ, দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে বাবর আজমের দল। এবার নামিবিয়াকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে সেমি-ফাইনালে উঠল পাকিস্তান।
মঙ্গলবার আবু ধাবিতে সুপার লিগের দুই গ্রুপের ম্যাচে নামিবিয়াকে ৪৫ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। চলতি বিশ্বকাপে এটা পাকিস্তানের টানা চতুর্থ জয়। ভারত, নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তানের পর তাদের শিকার নামিবিয়া। চারটি উড়ন্ত জয়ে মিলে গেল সেমির টিকেটও। সুপার লিগে শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড।
এক নম্বর গ্রুপে চারটি জয় নিয়ে এখনও অপেক্ষায় ইংল্যান্ড। কিন্তু দুই নম্বর গ্রুপের হিসাবটা একটু ভিন্ন। চার জয়ে ৮ পয়েন্টে সবার উপরে পাকিস্তান। দুই ও তিন নম্বরে যথাক্রমে আছে আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। এই দুই দলের যেকেনো একটি দল ৮ পয়েন্ট পেতে পারে। কিন্তু দুই দলেরই ৮ পয়েন্ট অর্জনের সুযোগ নেই। ৬ পয়েন্টের বেশি তোলার সুযোগ নেই বাকি তিন দল ভারত, নামিবিয়া ও স্কটল্যান্ডের। তাই এক ম্যাচ হাতে রেখেই সেমির টিকেট পেয়ে গেল পাকিস্তান।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা পাকিস্তান শুরুতে সেভাবে রান না তুলতে পারলেও সময়ের সাথে সাথে রান পাহাড়ের পথে এগিয়ে যায়। ম্যাচসেরা মোহাম্মদ রিজওয়ান ও অধিনায়ক বাবর আজমের অসাধারণ দুই ইনিংসে ২ উইকেটে ১৮৯ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে পাকিস্তান। জবাবে স্টেফান বার্ড, ক্রেইগ উইলিয়ামস, ডেভিড ভিসাদের লড়াইয়ের পরও ৫ উইকেটে ১৪৪ রানে শেষ হয় আইসিসির সহযোগী সদস্য নামিবিয়ার ইনিংস।
বড় লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ছেড়ে কথা বলেনি নামিবিয়া। রান তাড়ার ব্যাপারটি মাথায় রেখে শুরু থেকেই দ্রুত ব্যাট চালিয়েছে তারা। কিন্তু বিশাল এই লক্ষ্য পাড়ি দেওয়ার পথে অনবদ্য ইনিংস কেউই খেলতে পারেননি। ৩৭ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৪০ রানের ইনিংস খেলেন উইলিয়ামস। ওপেনার স্টেফান বার্ড ২৯ বলে একটি বরে চার ও ছক্কায় ২৯ রান করেন।
এরপর অধিনায়ক জেরহার্ড এরাসমাস ও অলরাউন্ডার ডেভিড ভিসাই যা রান করেছেন। এরাসমাস ভালো শুরু করেও ১০ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ১৫ রান করে আউট হন। ভিসা ৩১ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় সর্বোচ্চ ৪৩ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। পাকিস্তানের হাসান আলী, ইমাদ ওয়াসিম, হারিস রউফ ও সাদাব খান একটি করে উইকেট পান।
এর আগে ব্যাটিং করা পাকিস্তান উদ্বোধনী জুটি থেকেই অনেক রান পেয়ে যায়। রিজওয়ান ও বাবর ১৪.২ ওভারে ১১৩ রানের জুটি গড়েন। বাবরের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ফেরার আগে ৪৯ বলে ৭টি চারে ৭০ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন পাকিস্তান অধিনায়ক। চলতি বিশ্বকাপে এটা তার তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি।
এরপর নামিবিয়ার বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দেন ম্যাচসেরা রিজওয়ান ও মোহাম্মদ হাফিজ। রিজওয়ান ৫০ বলে ৮টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৭৯ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলেও অপরাজিত থাকেন। বিশ্বকাপে এটা তার দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। অভিজ্ঞ হাফিজ ১৬ বলে ৫টি চারে অপরাজিত ৩২ রান করেন। নামিবিয়ার হয়ে একটি করে উইকেট নেন ডেভিড ভিসা ও জ্যান ফ্রাইলিঙ্ক।