সবুজ উইকেটে স্পট বোলিংয়ে ব্যস্ত আবু জায়েদ
করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ বিরতির পর চলতি মাসে মাঠে ফিরেছেন আবু জায়েদ রাহি। ঈদের ছুটির পর যে কজন ক্রিকেটার একক অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন, এর মধ্যে একজন জাতীয় দলের ডানহাতি এই পেসার। একক অনুশীলনের প্রথমদিকে অন্যরা শুধু ফিটনেস নিয়ে কাজ করলেও আবু জায়েদ শুরু থেকেই ফিটনেসের পাশাপাশি নেটে বোলিং করে আসছেন।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ইনডোরের সুবিধা নিয়ে বোলিংয়ের ছন্দ ফিরে পাওয়ার চেষ্টায় আবু জায়েদ। মাঝে লম্বা বিরতি পড়ায় স্পট বোলিং নিয়ে কাজ করছেন তিনি। সিলেটের সবুজ উইকেটে বোলিং শুরুর পর তার উপলব্ধি, বোলিং ফিটনেস ফিরে পেতে সময় লাগবে। তবে সব মিলিয়ে ফিটনেস নিয়ে সন্তুষ্ট তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে ৯ টেস্ট, ২ ওয়ানডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টি খেলা জাতীয় দলের এই পেসার বলেন, 'আমরা তো দুই সপ্তাহ ধরে অনুশীলন করছি। ফিটনেস ভালোই আছে। তবে বোলিং ফিটনেসটা এখনও নির্ধারিত মানে পৌঁছায়নি। আরও কিছুদিন সময় লাগবে।'
স্বাভাবিক রান আপ বা গতিতে এই মুহূর্তে বোলিং করছেন না আবু জায়েদ। ধীরে ধীরে পুরনো ছন্দে ফিরতে চান জানিয়ে আবু জায়েদ বলেন, 'শুরু থেকেই বোলিং করেছি। প্রায় দুই সপ্তাহ হয়েছে বোলিংয়ের। স্বাভাবিক রান আপ ও গতিতে করছি না। দুটোই প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। আপাতত স্পট বোলিং করছি। আস্তে আস্তে গতি বাড়াব। অনেকদিন পর বোলিং, কিছুটা তো সমস্যা হবেই।'
আগামী অক্টোবরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এরআগে বোলিং ফিটনেস ফিরে পাওয়া সম্ভব কিনা, এমন প্রশ্নে আবু জায়েদ বলেন, 'অবশ্যই সম্ভব। আর সম্ভব না হলেও সম্ভব করতে হবে। আন্তর্জাতিক খেলার মানই থাকে ভিন্নরকম।'
'ওই মানের না হলে বোলিং করা সম্ভব হয় না। চেষ্টা করছি আমি। সিলেটে আমাদের চারটা উইকেট দিয়েছে। আমরা চারজন অনুশীলন করছি। সবগুলো উইকেটই তৈরি করা হয়েছে সবুজ ঘাসের। নিয়মিত বোলিং করে যাচ্ছি।' যোগ করেন তিনি।
স্থানীয় কোচ একেএম মাহমুদ ইমনের তত্ত্বাবধানে অনুশীলন করছেন আবু জায়েদ। তার মতো স্থানীয় এই কোচের নির্দেশনায় অনুশীলনে ঘাম ঝরাচ্ছেন আরও দুই পেসার এবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদ। স্পিনার নাসুম আহমেদও নিয়মিত অনুশীলন করছেন।
নিয়মিত রানিং, ফিল্ডিং ও বোলিং অনুশীলন করে আবু জায়েদের মনেই হচ্ছে না দলীয় অনুশীলনের বাইরে আছেন। তিনি বলেন, 'সিলেটের ইমন ভাই অনেক কষ্ট করছেন আমাদের চারজনকে নিয়ে। ফিল্ডিং, বোলিংয়ে আমাদের নিয়ে তিনি অনেক পরিশ্রম করছেন। উনি আমাদের স্পট বোলিং নিয়ে কাজ করছেন। প্রতিদিন সকালে এসে ওয়ার্মআপ করাচ্ছেন; পাশাপাশি রানিং, ফিল্ডিং ও বোলিং করাচ্ছেন। মনেই হচ্ছে না জাতীয় দলের ক্যাম্পের বাইরে আছি।'