সাইক্লিংয়ের শেষ দিনে রেকর্ডের ছড়াছড়ি
বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসে সাইক্লিংয়ের শেষ দিনে পাঁচটি ইভেন্টের সবকটিতেই রেকর্ড গড়েছেন সেনাবাহিনীর সাইক্লিষ্টরা। আর্মি স্টেডিয়ামে নারীদের ১২০০ মিটার টিম টাইম ট্রায়ালে সেনাবাহিনীর শিল্পী খাতুন সুবর্ণা বর্মা, সমাপ্তি বিশ্বাস ও গীতা রায় ১ মিনিট ৫২.৬৯ সেকেন্ডে নতুন রেকর্ড গড়েন।
আগের রেকর্ডটি ছিল বাংলাদেশ আনসারের। ২০১৩ সালে ২ মিনিট ০১.১২ সেকেন্ডে রেকর্ড গড়েছিল তারা। এই ইভেন্টে এবার বাংলাদেশ আনসার ১ মিনিট ৫৮.৬০ সেকেন্ডে রৌপ্য ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা ২ মিনিট ১৪.২৮ সেকেন্ডে ব্রোঞ্জপদক জিতেছে।
পুরুষদের ১৬০০ মিটার টিম ট্রায়ালে সেনাবাহিনীর বিশ্বাস ফয়সাল হোসেন, আলমগীর হোসেন, মুক্তাদুর আল হাসান ও শরিফুল ইসলাম ২ মিনিট ১৪.৫৯ সেকেন্ডে নতুন রেকর্ড গড়েন। এই ইভেন্টেও আগের রেকর্ডটি ছিল আনসারের (২০১৮ সালে ২ মিনিট ২১.৩২ সেকেন্ড)। এই ইভেন্টে এবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ২ মিনিট ১৫.৫৬ সেকেন্ডে রৌপ্য ও আনসার ২ মিনিট ১৮.৬৬ সেকেন্ডে ব্রোঞ্জপদক জেতে।
নারীদের ৪ হাজার মিটার স্ক্র্যাচ রেসে সেনাবাহিনীর সুবর্ণা বর্মা ৭ মিনিট ০৩.৫৮ সেকেন্ডে নতুন রেকর্ড গড়েন। আগের রেকর্ডটি ছিল তৎকালীন বিজেএমসির সমাপ্তি বিশ্বাসের। ২০১৮ সালে ৮ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। এই ইভেন্টে বাংলাদেশ আনসারের সোনিয়া ইয়াসমিন অভি ৮ মিনিট ১৩.৪৩ সেকেন্ডে রৌপ্য ও একই সংস্থার নাবিলা ইসলাম মালা ৮ মিনিট ১৩.৭০ সেকেন্ডে ব্রোঞ্জপদক জেতেন।
পুরুষদের ৪ হাজার মিটার টিম পারস্যুটে সেনাবাহিনীর বিশ্বাস ফয়সাল হোসাইন, শরীফুল ইসলাম, মিজানুর রহমান ও হেলাল উদ্দিন ৫ মিনিট ৫২.১৮ সেকেন্ডে নতুন রেকর্ড গড়েন। আগের রেকর্ডটি ছিল বাংলাদেশ আনসারের (২০১৮ সালে ৬ মিনিট ১২.৪ সেকেন্ড)। এই ইভেন্টে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ৬ মিনিট ০৮ সেকেন্ডে রৌপ্য এবং আনসার ৬ মিনিট ৮.৪৮ সেকেন্ডে ব্রোঞ্জপদক জেতে।
নারীদের ২ হাজার মিটার টিম পারস্যুটে সেনাবাহিনীর শিল্পী খাতুন, সুবর্ণা বর্মা, সমাপ্তি বিশ্বাস ও সুমিত্রা গাইন ৩ মিনিট ১৭.৬৪ সেকেন্ডে নতুন রেকর্ড গড়েন। আগের রেকর্ডটি ছিল বাংলাদেশ আনসারের (২০১৮ সালে ৩ মিনিট ৩০.৬১ সেকেন্ড)। এবার এই ইভেন্টে আনসার ৩ মিনিট ৩২.২৬ সেকেন্ডে রৌপ্য ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা ৩ মিনিট ৪৮.৫৬ সেকেন্ডে ব্রোঞ্জপদক জেতে।