সাকিবদের হারিয়ে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন ধোনির চেন্নাই
বিশাল লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে কলকাতা নাইট রাইডার্সের দাপুটে শুরু। ১০ ওভারে উদ্বোধনী জুটিতে থেকেই ৮৮ রান পেয়ে যায় তারা। কিন্তু ১১তম ওভারে ভেঙ্কটেশ আইয়ার ফিরতেই এলোমেলো কলকাতার ইনিংস। পরের ওভারে শার্দুল ঠাকুর চালালেন তাণ্ডব, তুলে নিলেন দুই উইকেট। এখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারল না তারা। দারুণ জয়ে আইপিএলের শিরোপা নিজেদের করে নিল মহেন্দ্র সিং ধোনির দল চেন্নাই সুপার কিংস।
শুক্রবার দুবাইতে অনুষ্ঠিত আইপিএলের ১৪তম আসরের ফাইনালে কলকাতাকে ২৭ রানে হারিয়েছে চেন্নাই। এ নিয়ে চতুর্থবারের (২০১০, ২০১১, ২০১৮ ও ২০২১) মতো আইপিএলের শিরোপা জিতল চেন্নাই। ২০১৮ সালের পর প্রথমবারের মতো ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আসরটির শিরোপা জিতল দলটি। ২০১৯ আইপিএলে ফাইনালে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে হেরে যায় তারা।
আইপিএল মানেই ধোনি ও চেন্নাইয়ের রাজত্ব। ১৪টি আইপিএল আসরের মধ্যে ১২টিতে (নিষেধাজ্ঞায় দুটি আসরে খেলা হয়নি) অংশ নিয়েছে দলটি। এই ১২ আসরের মধ্যে ৯টি তেই ফাইনালে খেলেছে চেন্নাই, এর মধ্যে চারবার চ্যাম্পিয়নের মুকুট জিতলো তারা। আইপিএলের দ্বিতীয় সফল দল চেন্নাই।
সর্বোচ্চ ৫টি শিরোপা জেতা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স আসরটির সফলতম দল। দলটির অধিনায়ক রোহিত শর্মা আইপিএল ইতিহাসের সফলতম অধিনায়ক। পাঁচবারই তার নেতৃত্বে শিরোপা জিতেছে মুম্বাই। অধিনায়কত্বের সফলতায় দুইয়ে ধোনি। ভারতের ইতিহাসের সফলতম এই অধিনায়কের নেতৃত্বেই চেন্নাই চারবার শিরোপা জিতেছে।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে চেন্নাই। দারুণ উদ্বোধনী জুটি পাওয়া দলটি ফাফ ডু প্লেসি, রুতুরাজ গায়কোয়াদ, রবিন উথাপ্পা ও মঈন আলীর ব্যাটে ৩ উইকেটে ১৯২ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে। জবাবে উড়ন্ত সূচনা পাওয়ার পর দিক হারিয়ে ফেলা কলকাতার ইনিংস জয়ের বেশ দূরে থাকতেই থেমে যায়, সাকিবদের দল ৯ উইকেটে ১৬৫ রান তোলে।
ফাইনালে ব্যাটে-বলে কিছুই করতে পারেননি সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার বল হাতে ভালো শুরু করলেও সেই ধারায় থাকতে পারেননি। ৩ ওভারে ৩৩ রান রান খরচায় উইকেটশূন্য থেকে যান তিনি। পরে ব্যাট হাতে প্রথম বলেই আউট হয়ে যান সাকিব।
আগে ব্যাটিং করতে নামা চেন্নাইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন ফাফ ডু প্লেসি। দক্ষিণ আফ্রিকার ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৫৯ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৮৬ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন। বাকি তিন ব্যাটসম্যানও রানের দেখা পান। রুতুরাজ ৩২, রবিন উথাপ্পা ৩১ ও মঈন অপরাজিত ৩৭ রান করেন। কলকাতার সুনীল নারাইন ২টি ও শিভাম মাভি একটি উইকেট নেন।
কলকাতার পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার শুভমান গিল। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৪৩ বলে ৬টি চারে ৫১ রান করেন। আরেক ওপেনার ভেঙ্কটেশ ৩২ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫০ রান করেন। এ ছাড়া লকি ফার্গুসন ১৮ ও শিভাম মাভি ২০ রান করেন।