সাকিবের ফিটনেস টেস্টের ফল নিয়ে বিভ্রান্তি
দেশে ফেরার পরই বিতর্কে নাম জড়ায় সাকিব আল হাসানের। দেশে ফিরে কোয়ারেন্টিনে না থেকে সাকিব পরদিন যোগ দেন একটি অনুষ্ঠানে। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এবার বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের ফিটনেস পরীক্ষার ফল নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
বুধবার বিসিবির একটি সূত্র নাম না প্রকাশ করার শর্তে সাকিবের বিপ টেস্টের ফল জানান। তিনি বলেন সর্বোচ্চ ১৩.৭ তুলেছেন সাকিব। কিন্তু এই তথ্যটি যে সঠিক নয়, সেটা বোঝা গেছে বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনাহজুল আবেদীন নান্নুর কথায়। মিনহাজুল আবেদীন জানিয়েছেন, বিপ টেস্টের জন্য বিসিবির বেধে দেওয়া স্কোরের কাছাকাছি তুলেছেন সাকিব।
বিসিবি বিপ টেস্টের জন্য বেঞ্চমার্ক হিসেবে ১১ বেধে দিয়েছিল। অর্থাৎ, সাকিব ১১ এর কাছাকাছি কোনো স্কোর তুলেছেন। সেই হিসেবে ফিটনেস পরীক্ষায় পাসই করেননি সাকিব। কিন্তু বিসিবির সূত্রটি বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে ১৩.৭ স্কোরের ব্যাপারটি উল্লেখ করেছেন।
সাকিবের বিপ টেস্ট নিয়ে মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেছেন, 'সাকিব আল হাসান আজ ফিটনেস টেস্ট দিয়েছে। আমাদের স্ট্যান্ডার্ডের একদম কাছেই আছে। আমাদের ট্রেইনাররা যথেষ্ট সন্তুষ্ট ওর ফিটনেস নিয়ে। আমি আশা করছি যে খেলোয়াড়রা নিয়মিত উন্নতির মধ্যেই থাকবে ফিটনেসে, তাহলে সবার পারফরমেন্সে যথেষ্ট উন্নতি হবে।'
সাকিবের ফিটনেস টেস্ট নিয়ে যে ট্রেইনাররা খুশি, তা বোঝা গেছে বিসিবির ফিটনেস ট্রেইনার তুষার কান্তির সঙ্গে কথা বলে। তিনি বলেন, 'খুব ভালো অবস্থা সাকিবের। এর আগে সাকিবকে আমি এমন স্কোর গড়তে দেখিনি। কঠোর পরিশ্রমের ফল পেয়েছে সে। আমরা সবাই জানি ও অন্য ধাতুর গড়া।'
সাকিব যে বেঞ্চমার্ক পেরিয়ে গেছেন, তুষার কান্তির কথাতে তা স্পষ্ট। কোনো ক্রিকেটারের ফিটনেস নিয়ে তখনই একজন ট্রেইনার এমন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন, যখন ওই ক্রিকেটার ভালোভাবে ফিটনেস পরীক্ষরায় উতড়ে যান। কিন্তু বিসিবির প্রধান নির্বাচকের ভাষ্যমতে, ফিটনেস পরীক্ষায় পাসই করেননি সাকিব।
করোনাভাইরাসের লম্বা বিরতি শেষে বেশ আগেই মাঠে ফিরেছেন ক্রিকেটাররা। নিয়মিত অনুশীলন করে আসছেন সবাই। বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপেও খেলার সুযোগ হয়েছে বেশ কিছু ক্রিকেটারের। এমন সময়ে ফিটনেস টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ক্রিকেটার বাছাইয়ের জন্য।
জাতীয় দল ও হাই পারফরম্যান্স দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের ফিটনেসের অবস্থা দেখতেই এই ব্যবস্থা। কেবল ফিটনেস টেস্টে পাস করলেই বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবেন ক্রিকেটার। সাকিব নিষেধাজ্ঞায় থাকায় তার ফিটনেস টেস্টও ছিল বাধ্যতামূলক। গত ২৯ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত হওয়া সাকিব বুধবার ফিটনেস পরীক্ষা দিয়েছেন।