সিপিএলে পুরনো ঠিকানায় ফিরলেন সাকিব
স্থগিত হয়ে যাওয়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) পুরনো দল কলকাতা নাইট রাইডার্সে ফিরেছিলেন সাকিব আল হাসান। এবার ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (সিপিএল) পুরনো দলে ফিরলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। সিপিএলের পরবর্তী আসরের জন্য সাকিবকে দলে ভিড়িয়েছে জ্যামাইকা তালাওয়াস।
বিষয়টি জানিয়েছে সিপিএল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার নিজেদের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এ নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছে সিপিএল। সাকিবের বোলিংয়ের একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, 'অনুমান করুন কে ফিরে এসেছে? জ্যামাইকা তালাওয়াসে ফিরেছেন সাকিব।' তবে এ নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি জ্যামাইকা তালাওয়াস কর্তৃপক্ষ।
আইসিসির এক বছরের নিষেধাজ্ঞার কারণে আইপিএলের ২০২০ আসরের মতো সিপিএলের গত আসরেও অংশ নেওয়া হয়নি সাকিবের। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে জাতীয় দলে ফেরা বাংলাদেশ অলরাউন্ডার কয়েক মাস পর আইপিএল দিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেটে ফেরেন। আইপিএলের পর এবার সিপিএলে খেলতে যাচ্ছেন তিনি।
জ্যামাইকা তালাওয়াসের সঙ্গে সাকিবের সম্পর্কটা পুরনোই। বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে জ্যামাইকার হয়ে খেলেন। ২০১৬ মৌসুমে দলটির চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মিশনে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলেন সাকিব। সিপিএলের ওই আসরে জ্যামাইকার হয়ে ১৩টি ম্যাচ খেলেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার। ২০১৭ সালে দলটির জার্সি গায়ে ৩টি ম্যাচ খেলেন তিনি।
এরপর ঠিকানা বদলায় সাকিবের। ২০১৮ সালে তাকে দলে ভেড়ায় বার্বাডোস ট্রাইটেন্টস। পরের আসরেও দলটি সাকিবকে রেখে দেয়। তিন বছর পর আবার পুরনো ঠিকানায় ফিরলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা।
বার্বাডোসের সঙ্গে সাকিবের সম্পর্ক আরও পুরনো। ২০১৩ সালে বার্বাডোজের হয়ে খেলেন তিনি। ওই আসরে বল হাতে রীতিমতো জাদু দেখান তিনি। একটি ম্যাচে সাকিব মাত্র ৬ রান খরচায় তুলে নেন ৬ উইকেট, যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্বিতীয় সেরা বোলিং।
বার্বাডোজ ও জ্যামাইকার হয়ে সিপিএলে মোট ৩০টি ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। যেখানে ১৬.৮৬ গড়ে ৩৫৪ রান করেছেন তিনি। আসরটিতে বল হাতেই বেশি সফল বাঁহাতি এই স্পিনার। ৬.৭৫ ইকোনমি রেটে সাকিবের শিকার ২৯ উইকেট।