সৈকতে ঝড়
দারুণ ব্যাটিংয়ের পর হঠাৎ ছন্দপতন। রান তোলার গতি একেবারেই কমে যায় গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের। জিয়াউর রহমান চেষ্টা করেও ব্যাটে-বলে সংযোগ করতে পারেননি। এরপর উইকেটে যান সৈকত আলী। তখন উইকেট ব্যাটিং করছেন আরেক সৈকত, তিনি মোসাদ্দেক আলী সৈকত। মোসাদ্দেক ধীর-স্থির থাকলেও সৈকত আলী রীতিমতো ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন। মাত্র ১১ বলে ২৭ রান করেন তিনি।
এই দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি পায় চট্টগ্রাম। সোমবার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে আগে ব্যাটিং করে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ১৫১ রান তোলে প্রথম দুই ম্যাচেই জয় পাওয়া মোহাম্মদ মিঠুনের দল।
আগের দুই ম্যাচের মতো এই ম্যাচে দলকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি ওপেনার লিটন কুমার দাস ও সৌম্য সরকার। দলীয় ২২ রানে বিদায় নেন সৌম্য। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনকে সাবলীল মনে হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি, ১৭ রান করে থামেন তিনি।
আগের দুই ম্যাচে রান পাওয়া লিটন এ ম্যাচেও ছন্দময় ব্যাটিং করছিলেন। যদিও বেশি পথ পাড়ি দেওয়া হয়নি তার। ২৫ বলে ৪টি চারে ২৫ রান করে আউট হন ডানহাতি এই বাটসম্যান। ভালো শুরু করেন শামসুর রহমান শুভও। যদিও বাকিদের মতো তিনিও পারেননি। ২৮ বলে ২৬ রান করেন তিনি।
এরপর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও সৈকত আলীর ব্যাটে চড়ে এগিয়েছে চট্টগ্রাম। মোসাদ্দেক ২৪ বলে একটি চারে ২৮ রান করেন। তবে সৈকত আলী ছিলেন খুনে মেজাজে। আবু জায়েদ রাহির করা ১৯তম ওভারে তিনটি ছক্কা মারেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
১১ বলে একটি চার ও ৩টি ছক্কায় ২৬ রান করেন সৈকত আলী। ফরচুন বরিশালের আবু জায়েদ সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন। এ ছাড়া সুমন খান, তাসকিন আহমেদ, কামরুল ইসলাম রাব্বি ও মেহেদী হাসান মিরাজ একটি করে উইকেট নেন।