২০১৯ বিশ্বকাপে কেন ব্যর্থ ছিল বাংলাদেশ, কারণ জানতে চান সাকিবের স্ত্রী
সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যেখানে ভালো অবস্থায় নেই বাংলাদেশ। প্রথম রাউন্ডের প্রথম ম্যাচ হেরে সমালোচনা যাতাকলে পড়া বাংলাদেশ পরের দুই ম্যাচ জিতে সুপার টুয়েলভের টিকেট কাটে। কিন্তু এখানে কেবলই ব্যর্থতার গল্প। যা নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। এমন সময়ে ২০১৯ বিশ্বকাপের ব্যর্থতার কারণ জানতে চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন সাকিব আল হাসানের স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির।
চলতি বিশ্বকাপে খারাপ পারফরম্যান্সের প্রভাব তো আছেই, সঙ্গে সমালোচনার ঝড়; সব মিলিয়ে ক্রিকেটাররা বিরক্ত। যা সংবাদ সম্মেলনে ক্রিকেটারদের কথায় ফুটে উঠছে। এর আগে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বক্তব্যের জবাবে নিজেদের খারাপ লাগার কথা জানান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
বাংলাদেশের ইনিংসের শেষ দিকে দ্রুত উইকেট পতনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সাকিব আল হাসান ওমানের ইনিংসের কথা জিজ্ঞাস করেন। তার প্রশ্ন ছিল, 'ওদের কয়টা পড়েছে?' উত্তরে সাংবাদিক ৫-৬ উইকেটের কথা জানালে সাকিব বলে ওঠেন, 'তাহলে ঠিকই আছে।' অর্থাৎ, ওমান-বাংলাদেশ সাকিবের কাছে একই সারির দল। এরপর সমালোচকদের আয়নায় নিজের চেহারা দেখতে বলেন মুশফিকুর রহিম।
সব মিলিয়ে উত্তাপ ছড়াচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট থেকে। এমন সময়ে সাকিবের স্ত্রী শিশির ফিরে গেলেন ২০১৯ সালে। তার প্রশ্ন, ২০১৯ বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটের কাঠামোতে কোনো পরিবর্তন আসেনি, তাহলে হার নিয়ে এখন কেন এতো কথা, সমালোচনা!
শিশির তার পোস্টটি এখন পর্যন্ত পাঁচবার সম্পাদনা করেছেন। সর্বশেষ সম্পাদনা অনুযায়ী তার পোস্টে লেখা আছে, '২০১৯ বিশ্বকাপ নিয়ে আমরা কি একটু কথা বলতে পারি। আমার অবাক লাগে যে, কীভাবে আমরা ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মতো বড় দলকে হারাতে পারিনি, যখন কিনা আমাদের গতি তারকা ও সেরা উদ্বোধনী জুটি ছিল।'
'সেসব ম্যাচে কী ভুল হয়েছিল, আমার কৌতহূলী মন সেটা জানতে চায়। সেই একই অবকাঠামো এখনও আছে, তাহলে এখন কেন এত কথা হচ্ছে। তখন যদি কিছু টকশো থাকতো এবং ভুল নিয়ে আলোচনা হতো, তাহলে আজ আমাদের ব্যর্থ হতে হতো না।' সম্পাদনার আগে শিশিরের পোস্টে লেখা ছিল 'তথাকথিত সেরা উদ্বোধনী জুটি।' পরে তথাকথিত শব্দটি ফেলে দেন তিনি।
২০১৯ বিশ্বকাপে ব্যাটে-বলে অনবদ্য ছিলেন সাকিব। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সেই বিশ্বকাপে ইতিহাসের একমাত্র অলরাউন্ডার হিসেবে একই আসরে ৫০০ রান ও ১০ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েন তিনি। একই ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট; সাকিবের কল্যাণে দ্বিতীয়বার দেখে বিশ্বকাপ। ৮ ম্যাচে ২টি সেঞ্চুরি ও ৫টি হাফ সেঞ্চুরিসহ ৮৬.৫৭ গড়ে ৬০৬ রান করেন সাকিব, যা ছিল আসরের তৃতীয় সর্বোচ্চ। বল হাতে নিয়েছিলেন ১১ উইকেট। এরপরও বাংলাদেশ খালি হাতে বাড়ি ফেরে।
২০১৯ বিশ্বকাপের বাংলাদেশের ৮ ম্যাচের মধ্যে মধ্যে ৭টিতে ইনিংস উদ্বোধন করেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। পেসার হিসেবে খেলেছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেন। শিশিরের উল্লেখ করা সেরা উদ্বোধনী জুটি ও 'স্পিড স্টার্স' এ কজন ক্রিকেটারের মধ্যেই পড়ে।