‘আমি পোলার্ড বা রাসেল নই’
৮৪ রানের ইনিংস, বল খরচা ৮৭টি। অনেকেই ধরে নেবেন ইনিংসটায় চার, ছক্কার ফুলঝুরি আছে। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে মুশফিকের ইনিংসটি মাত্র ৪টি চার ও একটি ছক্কায় সাজানো। কীভাবে বল ও রান তোলার এই সামঞ্জস্য রাখা সম্ভব হয়েছে। উত্তরে মুশফিক জানালেন, নিজের সামর্থ্যের কথা মাথায় রেখেই রান তোলায় মন লাগিয়েছিলেন তিনি।
বাজে শুরুর পর তামিম ইকবালের ৫২ রান বাংলাদেশকে ঠিক কক্ষপথে ফেরায়। পরের কাজটি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে সেরেছেন মুশফিক। তার ব্যাটেই মূলত ২৫৭ রানের মতো স্কোর পায় বাংলাদেশ। উইকেটে গিয়ে সময় নিয়েছেন, তিথু হয়ে প্রতি বল থেকেই রান আদায় করার চেষ্টা চালিয়েছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।
বাউন্ডারি ছাড়াই এমন ইনিংস খেলার বিষয়ে জানতে চাইলে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা মুশফিক বলেন, 'আই অ্যাম নট আ বিগ গাই। সহজে বাউন্ডারি মারতে পারি না আমি। আমি পোলার্ড বা রাসেল নই। আমি নিজের শক্তির জায়গায় থাকার চেষ্টা করি। কন্ডিশনও আমাকে সুযোগ দেয়নি খুব বেশি বাউন্ডারি মারার। আমি তাই সময় নিয়েছি, আস্তে আস্তে রান বাড়িয়েছি। একটা প্রান্ত নিরাপদ রাখতেও হতো আমাকে। সেটা আমি করেছি। রিয়াদ ভাইও সঙ্গ দিয়েছেন। আফিফ ও সাইফের ফিনিশিং টাচ ছিল দুর্দান্ত।'
বাজে শুরুর পরও লড়াইয়ের পূজি মিলেছে তামিমের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে, এমনই মনে করেন মুশফিক। তিনি বলেন, 'ব্যাটিংয়ের জন্য এই উইকেট খুব সহজ নয়। শুরুতে লিটন ও সাকিবকে হারিয়ে আমরা একটু চাপে ছিলাম। তবে তামিম সেই সময় খুব ভালো ব্যাট করেছে, যে কারণে আমি সময় নিয়ে এগিয়ে যেতে পেরেছি। রিয়াদ ভাইও খুব ভালো ব্যাট করেছেন। সব মিলিয়ে এটা ভালো ম্যাচ ছিল, কারণ লম্বা সময় পর আমরা ঘরের মাঠে ওয়ানডে ম্যাচ খেলছি। ভালো ম্যাচ ছিল।'
প্রচন্ড গরমও ভুগিয়েছে ক্রিকেটারদের। এ নিয়ে মুশফিক বলেন, 'এটা ক্রিকেটের জন্য আদর্শ কন্ডিশন নয়, সত্যি বলতে। শুধু গরমই নয়, ভেতর থেকে অনেক কিছুই শুষে নেয় এটা। প্রচণ্ড হিউমিডিটি, অনেক ঘাম ঝরে। প্রতিটি বলে মনোযোগ ধরে রাখতে হয়। তবে আমাদের ক্রিকেটারদের কৃতিত্ব, তারা খুব ভালো সামলেছে। বিশেষ করে বোলাররা। মিরাজ অসাধারণ ছিল, মুস্তাফিজ ও সাকিবও সঙ্গ দিয়েছে তাকে।'