‘কোহলি ছুটি পেলে নটরাজন কেন পাবে না’, প্রশ্ন গাভাস্কারের
গত নভেম্বরের শুরুর দিকে বাবা হয়েছেন থাঙ্গারাসু নটরাজন। বাবা হলেও সন্তানের মুখ এখনও দেখা হয়নি ভারতীয় বাঁহাতি এই পেসারের। টেস্ট দলে সুযোগ না হলেও নেট বোলার হিসেবে অস্ট্রেলিয়াতে থেকে যেতে হয়েছে তাকে। কিন্তু দলের অধিনায়ক হয়েও ছুটি পেয়েছেন বিরাট কোহলি। সন্তানসম্ভবা স্ত্রী আনুশকা শর্মার পাশে থাকতে দেশে ফিরেছেন কোহলি।
একেকজনের ক্ষেত্রে একেক নীতি প্রয়োগ করে ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট এভাবেই দলের মধ্যে বিভাজন তৈরি করছে বলে অভিযোগ করেছেন সুনীল গাভাস্কার। কোহলি ছুটি পেলে নটরাজন কেন পাবেন না; এমন প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের কিংবদন্তি এই ব্যাটসম্যান। এ ছাড়া রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারও টিম ম্যানেজমেন্টের দ্বৈত নীতির শিকার হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
স্পোর্টস্টারে লেখা কলামে গাভাস্কার অভিযোগ করে বলেছেন, 'অন্য সংস্করণে হলেও সে একজন ম্যাচ জেতানো বোলার (নটরাজন)। তাকে রেখে দেওয়া হয়েছে স্রেফ নেট বোলার হিসেবে। সিরিজ শেষে জানুয়ারীর তৃতীয় সপ্তাহে সে দেশে ফিরবে, তখনই কেবল নিজের মেয়েকে প্রথমবার দেখতে পাবে সে। সেখানে কিনা অধিনায়ক প্রথম টেস্টের পর দেশে ফিরে যাচ্ছে প্রথম সন্তানের জন্মের জন্য।'
গাভাস্কারের মতে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে দ্বৈত নীতি প্রয়োগ করে যাচ্ছে। এতে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন অনেকেই। এ নিয়ে রীতিমতো ক্ষব্ধ তিনি। সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, 'এটাই ভারতীয় ক্রিকেট। আলাদা লোকের জন্য নিয়মও এখানে আলাদা। আমার কথা বিশ্বাস না হলে অশ্বিন ও নটরাজনকে জিজ্ঞেস করুন।'
দলে নতুন বলে নটরাজন কিছু বলতে পারছে না জানিয়ে গাভাস্কার আরও বলেন, 'যেকোনো ক্রিকেটার দলের নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে, কিন্তু দলে নতুন বলে সে তা করতে পারবে না। এই ক্রিকেটার হলেন নটরাজন। এই বাঁহাতি ইয়র্কার স্পেশালিস্ট অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দারুণ বোলিং করেছে।'
'আইপিএলের প্লে অফ চলার সময়ই সে বাবা হয়েছে (৬ নভেম্বর)। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকেই তাকে সরাসরি অস্ট্রেলিয়ায় নেওয়া হয়েছে, সেখানে সীমিত ওভারের সিরিজে দারুণ খেলেছে। তার পর টেস্ট সিরিজের জন্যও তাকে রেখে দেওয়া হয়েছে। অথচ সে মূল স্কোয়াডের অংশ নয়, স্রেফ নেট বোলার হিসেবে আছে। ভেবে দেখুন ব্যাপারটা!'
অশ্বিনের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে বলে জানান গাভাস্কার। তিনি বলেন, 'অশ্বিনের বোলিং সামর্থ্য নিয়ে শুধু বোকারাই প্রশ্ন তুলবে। তারপরও তাকে ভুগতে হচ্ছে অনেক দিন ধরে। এর মূল কারণ অশ্বিনের স্পষ্টবাদীতা ও টিম মিটিংয়ে মনের কথা খোলাখুলি বলে ফেলা। যেখানে অন্যরা একমত না হলেও মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানায়।'