‘তরুণ কিনা, সেটা ব্যাপার নয়; দায়িত্ব পালন করতে হবে’
কারও কারও চোখে তিনি ভবিষ্যতের সাকিব আল হাসান। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়ে অবদান রাখতে পারেন। ফিল্ডার হিসেবে বাংলাদেশ দলের সেরা তিনজনের একজন। আফিফ হোসেন ধ্রুবকে নিয়ে বাংলাদেশ দলের কেন বড় আশা, সেটার 'ছোট্ট' প্রদর্শনী দেখা গেল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে।
বুধবার মিরপুরে ৬৭ রানের ৫ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারে চলে যাওয়া দলকে আলোর পথে ফেরানোর লড়াইয়ে অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন আফিফ। নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে ৫৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে ৫ উইকেটের জয় এনে দিয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
ইনিংসটা খুব বড় নয়, কিন্তু আফিফের ৩১ বলে ৩৭ রানের হার না মানা ইনিংসটি যে বাংলাদেশের জয়ের পথে সবচেয়ে বড় পাথেও ছিল, সেটা উল্লেখ না করলেও চলছে। আফিফের বয়স সবে ২১ বছর, গায়ে এখনও তরুণ ক্রিকেটারের তকমা। কিন্তু এসবে তোয়াক্কা নেই তার। তরুণ কিনা, এটাকে গোণায়ই ধরতে চান না আফিফ। দায়িত্ব পালন করাই তার কাছে সব।
উইকেটে গিয়ে কী করতে হবে, এক মুহূর্তেই সেটা ঠিক করে নিয়েছিলেন আফিফ। ম্যাচের পর তিনি বললেন, 'আমি যখন উইকেটে যাই, ভাবছিলাম শেষ পর্যন্ত আমাকে থাকতে হবে। রান রেট যতই থাকুক, আমি জানতাম সেটা মানিয়ে নিতে পারব। আমরা জানতাম মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে, উইকেট বাঁচিয়ে খেলতে হবে। সোহান ভাই দারুণ ব্যাটিং করেছেন, তাই আমার ওপর কোনো চাপ ছিল না।'
আফিফ যে চাপ নেননি, সেটা তার ব্যাটিং-ই বলে দিচ্ছিল। দ্রুত উইকেট পতনের পরও স্নায়ুর চাপ ধরে রেখে দায়িত্বশীল ব্যাটিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন তিনি। একবারও ভাবেননি, তিনি তরুণ নাকি অভিজ্ঞ। আফিফের ভাষায়, 'আপনি তরুণ কিনা, সেটা কোনো ব্যাপার নয়। দলের জন্য আমাকে অবদান রাখতেই হবে, এটা আমার কর্তব্য।'
অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বলে দেওয়া কথাও মাথায় রেখেছেণ আফিফ। তিনি বলেন, 'মাঠে নামার সময় রিয়াদ ভাইয়ের থেকে একটিই ম্যাসেজ ছিল যে, যাওয়ার পর যেন দুই-তিন ওভার স্বাভাবিক খেলি। আমার পরিকল্পনা ছিল যেন শেষ পর্যন্ত উইকেটে থাকতে পারি এবং ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারি।'