‘তারা সবাই শিক্ষিত জাতি এবং ভারতকে অনুসরণ করা উচিত নয়’
নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের পাকিস্তান সফর বাতিলের ঘটনায় চরম হতাশ দেশটির সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। সফর বাতিলের ঘটনায় তিনি মনে করেন, নিউজিল্যান্ড যা করেছে, তা 'ক্ষমার অযোগ্য'। পাকিস্তান সফরে সীমিত ওভারের সিরিজ খেলার কথা ছিল নিউজিল্যান্ডের। কিন্তু ১৭ সেপ্টেম্বর রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম ওয়ানডের কয়েক ঘণ্টা আগে নিরাপত্তা শঙ্কার কথা জানিয়ে পুরো সফর বাতিল করে দেশে ফিরে যায় কিউইরা।
এর প্রভাব পড়ে পরের সিরিজেও। কয়েকদিন পর ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল তাদের পুরুষ ও নারীদের পাকিস্তান সফর প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। আফ্রিদি মনে করেন, পুরো সফর বাতিল করার পরিবর্তে নিউজিল্যান্ডের উচিত ছিল বিষয়টি বিবেচনা করা। কারণ পাকিস্তান নিরাপদ ও দারুণ একটি ক্রিকেট সিরিজের ব্যবস্থা করার জন্য অনেক সতর্কতা অবলম্বন করেছে।
আফ্রিদি বলেন, 'আমরা সবাই জানি যে সিরিজ আয়োজনের ক্ষেত্রে কী পরিমাণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। সফরকারী দলের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের দ্বারা তদন্ত পরিচালিত হয়। সবকিছু যাচাই-বাছাইয়ের পর পর্যবেক্ষক দল সফরের ব্যাপারে সবুজ সংকেত দেয়, এরপর তারা সফরে আসে।'
সাবেক এই তারকা অলরাউন্ডার আরও বলেন, 'পাকিস্তানে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটারদের সবাই ভালোবাসে এবং তাদের দ্বারা এ রকম কিছু ক্ষমার অযোগ্য। কোনো হুমকি থেকে থাকলে সেটা পিসিবির সাথে আলোচনা করা উচিত ছিল নিউজিল্যান্ডের। পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর পদক্ষেপ নেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত ছিল।'
নিরাপত্তা শঙ্কার কথা জানিয়ে নিউজিল্যান্ডকে যে ই-মেইল করা হয়েছিল, সেটা ভারত থেকে এসেছিল বলে দাবি আফ্রিদির। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীও দাবি করেছিলেন যে, 'সিঙ্গাপুরের অবস্থান দেখানো ভিপিএনের মাধ্যমে ভারত থেকে ই-মেইল তৈরি করা হয়েছে।' এই ঘটনায় ভারতের ওপরও চটেছেন আফ্রিদি। তিনি মনে করেন অন্য শিক্ষিত জাতিদের ভারতের মতো একই ভুল করা উচিত নয়।
আফ্রিদির ভাষায়, 'যদি বড় পরিসরে দেখতে হয় তাহলে আমি মনে করি, আমাদের একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার, যা বিশ্বকে দেখিয়ে দেয় যে আমরাও একটি দেশ এবং আমাদেরও গর্ব আছে। একটি দেশ আমাদের পেছনে থাকতেই পারে, কিন্তু আমি মনে করি না অন্য দেশগুলোরও একই ভুল করা উচিত। তারা সবাই শিক্ষিত জাতি এবং ভারতকে অনুসরণ করা উচিত নয়।'
সাবেক এই ক্রিকেটার আরও বলেন, 'ক্রিকেটের সম্পর্কের উন্নতি করা উচিত। ভারতে পরিস্থিতি খারাপ ছিল। আমরা হুমকি পাচ্ছিলাম। আমাদের বোর্ড আমাদের যেতে বলেছিল এবং আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। একইভাবে করোনাকালে ইংল্যান্ডে খারাপ পরিস্থিতি ছিল, তবু ক্রিকেট চলেছে সেখানে। আপনি যদি মিথ্যা ই-মেইল বিশ্বাস করেন এবং সফর বাতিল করেন, তাহলে আমি মনে করি আপনি তাদের জেতার জন্য এগিয়ে দিলেন। এটা ঠিক রাস্তা নয়।'