প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তামিমের অনন্য মাইলফলক
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেই মাইলফলকটি ছুঁতে পারতেন তামিম ইকবাল। কিন্ত রানের দেখা পেলেও ইনিংসগুলো বড় করতে পারেননি বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। ৫৭ রানের দূরত্ব থেকেই যায়। যে দূরত্ব ঘুচিয়ে নিতে আর সময় নিলেন না তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই প্রথম ওয়ানডেতে ৫৭ রান তুলে এই ফরম্যাটে ৮ হাজার রান পূর্ণ করলেন তামিম।
দারুণ এই মাইফলক ছুঁয়ে নিজের রেকর্ড বইয়ে আরেকটি পাতা যোগ করলেন অভিজ্ঞ এই ওপেনার। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে ৮ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছালেন তামিম। ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের তালিকায় বাংলাদেশের অন্য ব্যাটসম্যানদের চেয়ে আরও আরও এগিয়ে গেলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
বিশ্ব ক্রিকেটেও এটা দারুণ মাইলফলক। ওয়ানডেতে ৮ হাজার রানের ক্লাবে ব্যাটসম্যানের সংখ্যা অনেক, এমন নয়। বিশ্বের ৩৩তম ব্যাটসম্যান হিসেবে এই তালিকায় নিজের নাম তুললেন তামিম। তার ওপরই আছেন নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান স্টিফেন ফ্লেমিং ও পাকিস্তানের সাবেক তারকা অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি।
এশিয়ার পঞ্চম ওপেনার হিসেবে ৮ হাজারি ক্লাবে ঢুকলেন তামিম। তার আগে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন কেবল চার ওপেনার। তারা হলেন ভারতের শচিন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলি, শ্রীলঙ্কার সনাৎ জয়সুরিয়া ও পাকিস্তানের সাঈদ আনোয়ার।
ব্যাট হাতে বাংলাদেশের বেশির রেকর্ডই তামিমের দখলে। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনিই ৭ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছান, যা এখনও কেউ ছুঁতে পারেননি। ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের তালিকায় দুই নম্বরে থাকা সাকিব আল হাসানের চেয়ে অনেক এগিয়ে তামিম। ২২১ ওয়ানডেতে ২০৯ ইনিংসে সাকিব রান করেছেন ৬ হাজার ৭৫৫।
বাংলাদেশের আর একজন ব্যাটসম্যান পেরেছেন ৬ হাজারের মাইলফলক পেরোতে, তিনি মুশফিকুর রহিম। দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ২৩৪ ওয়ানডে খেলা ডানহাতি অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান ৬ হাজার ৬৯৭ রানের মালিক। ২১০ ম্যাচে ৪ হাজার ৬২৯ রান নিয়ে তালিকার চার নম্বরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পাঁচ নম্বরে থাকা মোহাম্মদ আশরাফুল ১৭৫ ম্যাচে করেছেন ৩ হাজার ৪৬৮ রান।
২২৯তম ওয়ানডেতে এসে ৮ হাজারি ক্লাবে নাম লেখালেন তামিম। দারুণ কীর্তি গড়ার পর অবশ্য বেশিক্ষণ উইকেটে টেকা হয়নি ২০০৭ সালে এই হারারে স্পোর্টস ক্লাবেই ওয়ানডে অভিষেক হওয়া তামিমের। ৮৮ বলে ৯টি চারে ৬২ রান করে আউট হন তিনি। দীর্ঘ ১৫ বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৩৭.০৬ গড়ে ৮ হাজার ৫ রান করেছেন বাংলাদেশ ওপেনার। তার নামের পাশে আছে ১৪টি সেঞ্চুরি ও ৫৪টি হাফ সেঞ্চুরি।