“ইয়েস! ইয়েস! ইয়েস! ইতিহাস গড়েছি আমরা”
টুর্নামেন্টে দাপুটে শুরুর পর স্বপ্নের পথচলা শুরু। এরপর বাংলাদেশের সামনে যে প্রতিপক্ষই পড়েছে, স্রেফ উড়ে গেছে। মেয়েদের এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠা বাংলাদেশ ফাইনালেও শাসন কায়েম করে খেললো। নেপালের বিপক্ষে আগের রেকর্ড ভুলে অসাধারণ ফুটবলে স্বপ্নের ফাইনাল জিতে নিলো বাংলাদেশ। সাবিনা, কৃষ্ণাদের মাথায় উঠলো এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট।
সোমবার দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের আসরের ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। দারুণ জয়ে প্রথমবারের মতো সাফের চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ। ২০০৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দল। ১৯ বছর পর এসে সেই সাফল্যের মালা গাঁথলেন বাংলার লড়াকু মেয়েরা। আসরে একটি ম্যাচও না হেরে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ।
ট্রফি জিতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আবগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন নারী দলের অন্যতম সেরা ফুটবলার সানজিদা আখতার।
সানজিদা লেখেন, "ইয়েস! ইয়েস! ইয়েস! নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সাফ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপে আমাদের প্রথম শিরোপা জিতেছি।"
"ইতিহাস রচনা করেছি আমরা…আমরা এখন দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন। আপনাদের সহযোগিতার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।"
সানজিদার এই স্ট্যাটাসে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন ভক্ত ও ক্রীড়ামোদীরা।
কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক সানজিদার এই স্ট্যাটাসে মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, "কংগ্রাচুলেশন্স! মাই ডটারস।"
অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী নাদিয়া আহমেদ লিখেছেন, "তোমাদের নিয়ে বাংলাদেশ গর্বিত। অভিনন্দন।"
দেব দুলাল গুহ নামে একজন লিখেছেন, "...অশ্রুসিক্ত নয়নে আমরা বাংলার বাঘিনীদের সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়া দেখলাম। অনেক কষ্টের মাঝেও মা ও আমি 'জয় বাংলা' বলে চিৎকার দিয়ে উঠলাম। এ আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার নয়।
…এমন দূষিত সময়ে নষ্ট সমাজকে চোখে আঙুল দিয়ে মেয়েদের যোগ্যতা ও সম্মান দেখিয়ে দেওয়ার জন্য হলেও এই জয়টা দরকার ছিলো। তাই এ আনন্দ প্রকাশযোগ্য নয়।"
এদিকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সকল খেলোয়াড়, কোচ ও ম্যানেজারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।