ধারহীন বোলিংয়ে রান চাপায় বাংলাদেশ
তেড়েফুঁড়ে শুরু করলেন ফিন অ্যালেন। তার সঙ্গেই ইনিংস শুরু করা ডেভন কনওয়ে পরে দারুণ ব্যাটিং করে গেলেন। শেষ দিকে বাংলাদেশের বোলারদের দিক ভুলিয়ে দিয়ে তাণ্ডব চালালেন গ্লেন ফিলিপস, অবদান রাখলেন একাদশে ফেরা মার্টিন গাপটিলও। বাংলাদেশের গড়পড়তা বোলিংয়ের বিপক্ষে দাপুটে ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহ গড়লো নিউজিল্যান্ড।
বুধবার ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলে ওভালে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের মধ্যে দ্বিতীয় সাক্ষাতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ২০৮ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়েছে নিউজিল্যান্ড। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স, প্রতিপক্ষের বোলিং ও কন্ডিশন বিবেচনায় এই সংগ্রহ পাড়ি দেওয়া যে বাংলাদেশের জন্য কঠিন কাজ, সেটা বলাই বাহুল্য।
সিরিজে টিকে থাকার লড়াইয়ে টস জিতে ফিল্ডিং নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আগে ব্যাটিং করতে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন অ্যালেন ও কনওয়ে। উদ্বোধনী জুটিতে ৪.২ ওভারে ৪৫ রানের জুটি গড়েন এ দুজন। এ সময় কনওয়ে ধীর স্থির মেজাজে থাকলেও অ্যালেন ঞড়ো ব্যাটিং করেন। ১৯ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩২ রান করা অ্যালেনের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি।
অ্যালেনকে ফিরিয়ে ব্রেক-থ্রু এনে দেন শরিফুল ইসলাম। যদিও উইকেট হারানোর কোনো চাপই বুঝতে হয়নি নিউজিল্যান্ডকে। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৪ বলে ৮২ রানের জুটি গড়েন কনওয়ে ও মার্টিন গাপটিল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক গাপটিল ২৭ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৪ রান করে এবাদত হোসেনের বলে আউট হন গাপটিল।
এরপর ফিলিপসের সঙ্গেও ৩৪ রানের জুটি গড়েন হ্যাগলে ওভারে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং গড়ের মালিক কনওয়ে। ১৭তম ওভারে গিয়ে আউট হন তিনি। এর আগে ৪০ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬৪ দারুণ এক ইনিংস খেলেন বাঁহাঁতি এই ব্যাটসম্যান। কনওয়ের বিদায়ের পর ছক্কার বৃষ্টি নামান ফিলিপস। মাত্র ১৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করা কিউই এই ব্যাটসম্যান ২৪ বলে ২টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৬০ রানের বিস্ফোরক এক ইনিংস খেলেন। তার ব্যাটে শেষ ৩ ওভারে ৪২ রান তোলে নিউজিল্যান্ড।
বল হাতে এদিন বাংলাদেশের কোনো বোলারই সুবিধা করতে পারেননি। ৪ ওভারে ৩৭ রানে ২ উইকেট নেওয়া মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন কেবল ওভার প্রতি ১০ রানের কম খরচা করেন। বাকি ৫ বোলারই ১০ রানের বেশি করে খরচা করেন। এবাদত হোসেন ৪ ওভারে ৪০ রানে ২ উইকেট নেন। ৪ ওভারে শরিফুল ইসলামের খরচ ৪১ রান, নেন এক উইকেট। অধিনায়ক সাকিব ৪ ওভারে ৪০ রানে উইকেটশূন্য থাকেন।