মরক্কোর ফুটবল তারকা আশরাফ হাকিমির স্ত্রী বিশ্বের অন্যতম সুন্দরী অভিনেত্রী হিবা আবৌক
বিশ্বকাপের আগে ফুটবলার আশরাফ হাকিমির পরিচয়– ফ্রান্সের বিখ্যাত ফুটবল ক্লাব পিএসজির তারকা হিসেবেই জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু, কাতার বিশ্বকাপে নিজ দেশ মরক্কোর অসাধারণ সব সাফল্য যেন আশরাফ হাকিমিকে নতুন করে পরিচয় দিয়েছে। বর্তমানে ২৪ বছর বয়সী আশরাফ হাকিমি শুধু মরক্কোর তারকা ফুটবলারই নন বরং বিশ্বকাপের দর্শকদের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকা খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্যতম। খবর ডেইলি স্টার ইউকের
গণমাধ্যমে আশরাফ হাকিমির জীবনসংগ্রামের গল্প শুনেছেন অনেকেই। এছাড়াও বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে কোয়ালিফাই করার পর মায়ের সাথে আশরাফ হাকিমির ছবিও প্রকাশিত হয়েছে গণমাধ্যমে। তবে হাকিমির ব্যক্তিজীবন নিয়ে এ আলোচনা শুধু মাকে নিয়েই সীমাবদ্ধ থাকেই। বরং সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন আশরাফ হাকিমির স্ত্রী হিবা আবৌক, সামাজিক মাধ্যম থেকে শুরু করে বিশ্ব গণমাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে দুইজনের ছবি।
হাকিমির স্ত্রী হিবা আবৌক ১৯৮৬ সালে মাদ্রিদে জন্মগ্রহণ করে। জন্মসূত্রে হিবা স্পেনের নাগরিক হলেও তার পূর্বপুরুষের বসবাস ছিল তিউনিসিয়া ও লেবাননে। শিক্ষাজীবনে হিবা আরবি ভাষাতত্ত্ব নিয়ে পড়াশোনা করলেও পরে নাটকের ওপরও ডিগ্রি নিয়েছেন। স্প্যানিশ ও আরবি ছাড়াও ফরাসি, ইংরেজি ও ইতালিয়ান ভাষার পারদর্শীতা অর্জন করেছেন হিবা।
সাধারণত হিবার মূল পরিচয় অভিনেত্রী হিসেবেই। ২০০৮ সালে টিভি সিরিজ দিয়ে হিবার অভিনয়ে অভিষেক হলেও– প্রথমেই ততটা জনপ্রিয়তা পায়নি। মুলত টিভি সিরিজ 'এল প্রিন্সিপ' এ ফাতিমা নামের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করে তিনি সবচেয়ে বেশি প্রশংসা পেয়েছেন। তবে হিবার অভিনয় ক্যারিয়ার শুধু টিভি সিরিজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। বরং টিভি সিরিজ ছাড়াও তিনি আটটি স্বল্প ও পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
৩৬ বছর বয়সী হিবা আবৌকের সাথে হাকিমির পরিচয় ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে। ২০১৮ সালে এ দুই তারকা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। হাকিমি ও হিবার দুই সন্তান রয়েছে। প্রথম সন্তানের জন্ম ২০২০ সালে, দ্বিতীয়জনের জন্ম চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে। চলতি বছর এ তারকা দম্পতি 'ভোগ অ্যারাবিয়ার' ফটোশুটে অংশ নেওয়ার পর ব্যাপক আলোচনায় আসেন।
বর্তমানে অভিনেত্রী হিবাকে বিয়ে করে সুখী জীবনযাপন করলেও, নিজের অতীতকে ভুলে যায়নি আশরাফ হাকিমি। বুন্দেসলিগার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আশরাফের এক সাক্ষাৎকারে নিজের পরিবারের জীবন সংগ্রামের কথা নিঃসংকোচে স্বীকার করেছেন তিনি।
হাকিমি জানান, তার মা পরিবার সামলাতে স্পেনে মানুষের বাসাবাড়ি পরিস্কারের কাজ করতেন। তার বাবা হাসান হাকিমিও জীবনসংগ্রামে টিকে থাকার জন্য স্পেনের রাস্তায় ফেরি করে মালামাল বিক্রি করতেন। তবে বর্তমানে আশরাফ হাকিমির ভাগ্য বদলেছে; চোখের সামনে হাতছানি দিচ্ছে দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ।