রেকর্ড পঞ্চমবারের মতো বর্ষসেরা প্লে-মেকার পুরষ্কার জিতলেন মেসি
২০২২ সাল লিওনেল মেসির জন্য ছিল স্বপ্নের মত একটি বছর। ক্যারিয়ারে অসাধারণ সব অর্জন থাকলেও বহুল প্রতীক্ষিত বিশ্বকাপ ট্রফিটি অধরাই ছিল আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের কাছে। তবে ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে এসে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন তিনি। একই সাথে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে জিতেছেন গোল্ডেন বল পুরষ্কার। তবে এখানেই শেষ হয়নি মেসির ২০২২ অধ্যায়। সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফুটবল হিস্টোরি অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিকস(আইএফএফএইচএস) এর জরিপে ২০২২ সালের বর্ষসেরা প্লে-মেকার পুরষ্কার জিতেছেন লিওনেল মেসি, খবর মার্কার।
শুধু কাতার বিশ্বকাপেই নয়, নিজ ক্লাব পিএসজির হয়েও গত বছর দ্যুতি ছড়িয়েছেন এলএমটেন। ২০২২ সালে জাতীয় দল ও ক্লাব পর্যায়ে ৩০টি এসিস্ট ও মোট ১০২টি কী-পাস করে সমর্থকদের নজর কেড়েছেন তিনি। ফলে অন্য বড় বড় তারকাকে পেছনে ফেলে সর্বোচ্চ ১৭০ পয়েন্ট নিয়ে ২০২২ বর্ষসেরা প্লে-মেকারের পুরস্কার জিতেছেন আর্জেন্টাইন জাদুকর।
লিওনেল মেসি ছাড়াও কেভিন ডি ব্রুইনা, বার্নার্দো সিলভা, ব্রুনো ফার্নান্দেজ এবং আন্তোনিও গ্রিজমানের মত তারকা ফুটবলাররা ছিলেন সংক্ষিপ্ত তালিকায়। তবে মেসির ১৭০ পয়েন্টের সবচেয়ে কাছাকাছি ১১৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছেন ক্রোয়েশিয়া ও রিয়াল মাদ্রিদ তারকা লুকা মদ্রিচ।
মেসি রেকর্ড পাঁচবার পুরস্কারটি জিতলেও এখনো বর্ষসেরা প্লে-মেকারের পুরস্কারটি জিততে পারেননি মদ্রিচ। তবে মেসির এ কীর্তির কাছাকাছি আছেন তারই সাবেক বার্সেলোনা সতীর্থ জাভি। মোট চারবার বর্ষসেরা প্লে-মেকারের পুরস্কারটি জিতেছেন স্প্যানিশ এ ফুটবল তারকা। অন্যদিকে বার্সেলোনার সাবেক ফুটবলার ইনিয়েস্তা ও ম্যানচেস্টার সিটির ফুটবলার কেভিন ডি ব্রুইনা দুইবার করে পুরস্কারটি জিতেছেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, মেসি থেকে শুরু করে কেভিন ডি ব্রুইনা, এরা সকলেই কোচ পেপ গার্দিওলার শিষ্য ছিলেন।
২০০৮ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত টানা চারবার আইএফএফএইচএস এর বর্ষসেরা প্লে-মেকারের খেতাব জিতেছিলেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার জাভি হার্নান্দেজ। অন্যদিকে ২০১৫ থেকে ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে মোট চারটি আইএফএফএইচএস এর বর্ষসেরা প্লে-মেকারের খেতাব জিতেছিলেন মেসি।