মেসির জোড়া গোল, শিরোপা জিতলো মায়ামি
কোপা আমেরিকার ফাইনালে গোড়ালির চোট পাওয়া লিওনেল মেসিকে লম্বা সময় ধরে মাঠের বাইরে থাকতে হয়। সুস্থ হয়ে ফেরার পর থেকে দলে পুরনো ভূমিকা 'ত্রাতা'র চেহারাতেই দেখা মিলছে আর্জেন্টিনার এই ফুটবল জাদকুরকে। সেই জাদুতে আনন্দ উদযাপনের উপলক্ষ্য পেল তার দল ইন্টার মায়ামি, তিনিও ট্রফি জয়ের রেকর্ডে সবার সঙ্গে বাড়ালেন আরেকটি ব্যবধান।
বৃহস্পতিবার লোয়ারডটকম ফিল্ডে কলম্বাস ক্রুকে ৩-২ গোলে হারিয়ে সাপোর্টার্স শিল্ডের শিরোপা জিতেছে মায়ামি। ঝলমলে ক্যারিয়ারে এটা মেসির ৪৬তম শিরোপা, যা ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ। এই শিরোপা জয়ের নায়ক তিনিই। পাঁচ মিনিটের মধ্যে দুটি গোল করেন আর্জেন্টাইন এই কিংবদন্তি, মায়ামির পক্ষে বাকি গোলটি লুইস সুয়ারেজের।
গোলরক্ষক ড্রেক ক্যালেন্ডারেরও দারুণ ভূমিকা ছিল, একটি পেনাল্টি বাঁচান তিনি। ৩২ ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে সাপোর্টার্স শিল্ডের শিরোপা নিশ্চিত করে মায়ামি। ২০২০ সালে মেজর লিগ সকারে নাম লেখানোর পর এই টুর্নামেন্টে এটাই মায়ামির প্রথম শিরোপা।
২০২২ বিশ্বকাপ জিতে ব্রাজিলের দানি আলভেসের সঙ্গে সর্বোচ্চ শিরোপা জেতার রেকর্ডে ভাগ বসান মেসি। দুজনের নামের পাশেই ছিল ৪৪টি করে শিরোপা। গত কোপা আমেরিকা জিতে বার্সেলোনায় দীর্ঘদিনের সতীর্থ আলভেসকে ছাড়িয়ে শিরোপা চূড়ায় পা রাখেন ফুটবল ইতিহাসের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার মেসি। এবার সেই তালিকায় নিজেকে আরও উপরে তুললেন মেসি।
ট্রপি জেতার ম্যাচে শুরুতেই পিছিয়ে পড়তে পারতো মায়ামি। অষ্টম মিনিটেই তাদের জালে বল জড়ায়, যদিও গোলটি অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। ২৪তম মিনিটে মায়ামিরও একই অভিজ্ঞতা হয়, এ সময় প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠালেও ফাউল করায় গোলটি পায়নি তারা।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে গিয়ে মায়ামিকে এগিয়ে নেন মেসি। ৪৫তম মিনিটে দূর থেকে লম্বা পাসে বল বাড়ান জর্দি আলবা। কলম্বাস ক্রুর বক্সের কাছ থেকে বুক দিয়ে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুই ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে ফাাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ান তারকা এই ফরোয়ার্ড। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে অসাধারণ ফ্রি কিকে আরও একটি গোল আদায় করে নেন মেসি।
দ্বিতীয়ার্তের শুরুতেই একটি গোল শোধ করে কলম্বাস। যদিও ফের পিছিয়ে পড়তেও সময় লাগেনি। তাদের গোলরক্ষকের ভুলকে কাজে লাগিয়ে হেডে বল জালে জড়ান মায়ামির সুয়ারেজ। ৬১তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল ব্যবধান কমায় কলম্বাস। ৮৪তম মিনিটে আসে সমতা টানার সুযোগ, আরেকটি পেনাল্টি পায় তারা। কিন্তু এবার গোলের দেখা মেলেনি মায়ামির গোলরক্ষক ক্যালেন্ডারের বীরত্বে, ডান পাশে ঝাঁপিয়ে পেনাল্টি ফেরান তিনি।