সমালোচনা করে শাস্তি পেলেন কুমিল্লার কোচ সালাউদ্দিন
আম্পায়ারিং বা এডিআরএস নিয়ে সমালোচনা করলে শাস্তি পেতে হবে, সেটা নিজেই বলছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। এরপরও অবশ্য কিছু কথা বলে ফেলেন স্থানীয় এই কোচ। যার ফল হিসেবে শাস্তি পেতে হলো তাকে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আম্পায়ারিং নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করায় সালাউদ্দিনকে জরিমানা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
জাকের আলী অনিকের আউট নিয়ে ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে সমালোচনা করে বিসিবির আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন সালাউদ্দিন। এ কারণে ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে তাকে। কেবল আর্থিক জরিমানাই নয়, বিপিএলের সফলতম এই কোচের নামের সঙ্গে যোগ হয়েছে তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট।
রোববার রাতে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাউদ্দিনের শাস্তির বিষয়টি জানিয়েছে বিসিবি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আচরণবিধির ২.৭ ধারা অনুযায়ী লেভেল ২ ভাঙার অভিযোগ আনা হয় সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে। ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফদের জন্য এই ধারায় আছে, ম্যাচের কোনো ঘটনা নিয়ে প্রকাশ্য সমালোচনা ও অনুপযুক্ত মন্তব্য করা আচরণবিধি ভঙ্গ করার সমান।
সালাউদ্দিনের সমালোচনার পর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন মাঠের দুই আম্পায়ার ডেভিড মিলন্স, মোরশেদ আলী খান, টিভি আম্পায়ার তানভীর আহমেদ ও চতুর্থ আম্পায়ার মুজাহিদুজ্জামান স্বপন। ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পালের দেওয়া শাস্তি সালাউদ্দিন মেনে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।
শনিবার অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স-কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের একটি আউট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। চতুর্দশ ওভারে চট্টগ্রামের ইফতিখার আহমেদের করা বলে কুমিল্লার জাকেরকে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার, রিভিউ নেন জাকের। রিভিউয়ে দেখা যায়, বলের প্রায় সবটুকু অংশই পিচ করেছে স্টাম্প লাইনের বাইরে। সামান্য একটু অংশ লাইন স্পর্শ করেছে।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, আউটের জন্য বলের বেশির ভাগ অংশ থাকতে হয় লাইনে। এ কারণে জাকিরের বেঁচে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু টিভি আম্পায়ারও আউটের সিদ্ধান্ত দেন। এই আউট নিয়ে তখন থেকেই সবখানে সমালোচনা শুরু হয়। যদিও রাতে বিসিবি এক বিবৃতি দিয়ে জানায়, বিপিএলের প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী বলের যেকোনো পরিমাণের অংশ লাইন স্পর্শ করলেই সেটাকে 'ইন লাইন' বলে ধরে নেওয়া হবে।
জাকেরের আউট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সালাউদ্দিন বলেছিলেন, 'এডিআরএস থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো আমার মনে হয়। আম্পায়ার যেটা দিয়ে দেবে, সেটা (রেখে) দেওয়াই ভালো। এটা তো একেবারে লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করেছে। প্রথম ম্যাচেও একটা সিদ্ধান্ত খারাপ হয়েছে, আজকেও। খালি চোখে যেটা আমরা দেখছি নট আউট, সেটা থার্ড আম্পায়ার আউট দিয়ে দিচ্ছে। কী করতে পারি? আমাদের তো কিছু করার নেই। আমরা মাঠে চিল্লাচিল্লি করি, এটা কি চান?'
কুমিল্লার কোচ আরও বলেন, 'এমনিই সাসপেন্ড করে দেবে। ঠিক আছে! যেহেতু খেলা চলছে। প্রতিবাদ করেও তো লাভ নেই। আমরা লিখিত দেব বা প্রতিবাদ করব যে, সেটা করেও লাভ নেই। কোনো লাভ হবে না। আসলে কিছু করার নেই। হাত-পা বাঁধা আছে। যা হবার তাই হবে আর কী!'