অনূর্ধ্ব-১৭ সাফে ভুটানকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশের মেয়েরা
সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে শুভ সূচনা করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সোমবার ভুটানকে ৮-১ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে চার গোল করা মেয়েরা দ্বিতীয়ার্ধে জালের দেখা পায় আরও চার বার।
পরবর্তী ম্যাচে সবচেয়ে শক্তিশালী দল রাশিয়ার মুখোমুখি হওয়ার আগে বাড়তি আত্মবিশ্বাস পেল গোলাম রব্বানী ছোটনের দল।
রাউন্ড রবিন লিগে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বুধবার রাশিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচটির দিকে বিশেষভাবে তাকিয়ে থাকার কথা শোনা গেছে কোচ, খেলোয়াড়দের মুখে।
ভুটানের বিপক্ষে শুরুতেই আক্রমণের পসরা মেলে বাংলাদেশ। কিক অফের পর পরই প্রথম আক্রমণে ভুটানের রক্ষণ ভেঙে গোলরক্ষককে পেছনে ফেললেও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ফরোয়ার্ড সুরভী আকন্দ প্রীতি। ১০ মিনিট পর এই ফরোয়ার্ডের দুর্বল শট আটকান গোলরক্ষক দীক্ষা রাই।
ষোলো মিনিটে প্রথম গোল পেয়ে যায় বাংলাদেশ। বক্সের ভেতর ভুটানি গোলরক্ষক ছুটে এসে স্লাইড করে আটকাতে চেয়েছিলেন সুরভীকে। কিন্তু তার আগে শট নেন তিনি। দূরের পোস্ট দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার আগ মুহূর্তে নিখুঁত টোকায় জাল খুঁজে নেন ফাঁকায় থাকা তৃষ্ণা।
২১তম মিনিটে অধিনায়ক জালে বল জড়ালেও গোল হয়নি অফসাইডের কারণে। এরপর বক্সে পা পিছলে পড়ে সুযোগ নষ্ট করেন সুরভী। ২৮তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বাংলাদেশ। নুসরাত জাহান মিতুর দারুণ এক রক্ষণচেরা পাস পেয়ে বাঁ প্রান্ত থেকে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন তৃষ্ণা। ৩৬তম মিনিটে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন সুলতানা আক্তার। ৬ মিনিট পর কিছুটা দুরূহ কোণ থেকে প্রীতির শট বাঁক খেয়ে জালে জড়ালে ব্যবধান বাড়ে আরও।
৪৮তম মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও তার গায়ে মেরে বসেন তৃষ্ণা। দুই মিনিট পর প্রীতিও দুর্বল শটে গোলরক্ষকের হাতে বল তুলে দেন। ৫৩তম মিনিটে ফাঁকায় থাকা তৃষ্ণা সতীর্থের ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি ঠিকঠাক। বল তার পায়ে লেগে চলে যায় গোলরক্ষকের কাছে, নষ্ট হয় তৃষ্ণার হ্যাটট্রিকের আরেকটি ভালো সুযোগ।
৬০তম মিনিটে প্রীতিকে তুলে থুইনু মারমাকে নামান কোচ। নেমেই প্রথম আক্রমণ থেকে গোল করেন এই ফরোয়ার্ড। পূজা দাসের থ্রু পাস এক ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে পেয়ে যান থুইনু। এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে কাটিয়ে জাল খুঁজে নেন তিনি।
দুই মিনিট পর ডিফেন্সের ভুলে বল পেয়ে ব্যবধান আরও বাড়ান আরেক বদলি মুন্নি আক্তার। এই গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই সতীর্থের থ্রু পাসে পাওয়া বল নিখুঁত টোকায় গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে জালে জড়ান থুইনু, কিন্তু অফসাইডের কারণে হয়নি গোল। ৬৫তম মিনিটে ভুটানের হয়ে ব্যবধান কমান প্রিয়া ঘাল্লে।
৭৬তম মিনিটে সাগরিকার উঁচু করে নেওয়া শট ক্রসবার ছুঁয়ে গোলরক্ষকের হাতে লেগে ফেরার পর হেডে লক্ষ্যভেদ করেন থুইনু। ৮৩তম মিনিটে সাগরিকার শট দূরের পোস্টে কাঁপিয়ে ফিরে। দুই মিনিট পর মুন্নির শট গোলরক্ষক গ্লাভসে জমাতে ব্যর্থ হলে আলগা বলে জালে পাঠান সাগরিকা।