আম্পায়ার আউট দেননি, নিজেই মাঠ ছাড়লেন নাবিল
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক বহু পুরনো। প্রায় প্রতি আসরেই আম্পায়ারিং নিয়ে বিভিন্ন দলের অভিযোগ থাকে। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। বিতর্কিত আউট নিয়ে যখন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আলোচনার শেষ নেই, তখন দারুণ স্পোর্টসম্যানশিপের পরিচয় দিলেন প্রান্তিক নওরোজ নাবিল। আম্পায়ার আউট না দিলেও নিজেই মাঠ থেকে বেরিয়ে যান প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের তরুণ বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
ক্রিকেটে প্রায় বিরল এই দৃশ্য রোববার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দেখা গেল। সুপার লিগের ম্যাচে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে হাফ সেঞ্চুরি করা নাবিল ব্যাট চালিয়ে বুঝতে পারেন বল তার ব্যাটে লেগেছে। যে কারণে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা না করে নিজেই হাঁটা দেন সাজঘরের পথে। এমন স্পোর্টসম্যানশিপ প্রদর্শন করায় মাঠ ছাড়ার সময় প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দের অভিবাদন পান নাবিল।
৩০তম ওভারের ঘটনা, বোলিং করছিলেন শেখ জামালের সাইফ হাসান। তার করা চতুর্থ ডেলিভারিটি অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে যাচ্ছিল, নাবিল শট না খেললেও খোচা দিয়ে বসেন। বল গিয়ে জমা হয় উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে। সাইফ-সোহানসহ জোরালো আবেদন করেন শেখ জামালের বাকি ক্রিকেটাররা। আউটের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ায় আম্পায়ারের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে আবেদন করে যান তারা।
সাইফ-সোহানদের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার, নিশ্চুপ থাকেন তিনি। শেখ জামালের ক্রিকেটাররা আবেদন করা অবস্থাতেই উইকেট ছেড়ে সাজঘরের পথে হাঁটা শুরু করেন নাবিল। বাংলাদেশের যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের এই সদস্য হেঁটে অনেকটা দূরে যাওয়ার পর বাধ্য হয়ে আম্পায়ার আউট ঘোষণা করেন। শেখ জামালের অনেকেই এগিয়ে গিয়ে নাবিলকে অভিবাদন জানান। তার চলে যাওয়ার পর শেখ জামাল ক্রিকেটারদের আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়।
সুপার লিগের ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ২৭৭ রানের লক্ষ্য দেয় শেখ জামাল। চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা নাবিল ৯০ বলে ৭টি চার ও একটি ছক্বায় ৭৫ রান করেন। তার উদাহরণ তৈরির দিনে প্রাইম ব্যাংক অবশ্য হেরে গেছে। নাবিলের বিদায়ের পর খেই হারানো দলটি আল-আমিন জুনিয়র ও শেখ মেহেদি হাসানের ব্যাটে লড়লেও লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। চার বল বাকি থাকতে ২৬৩ রানে থামে প্রাইম ব্যাংক, ১৩ রানের জয় পায় শেখ জামাল।