'এত টাকা দিয়ে বুড়ো খেলোয়াড় নিয়ে ভুল করছে সৌদি আরব'
ইউরোপের ফুটবলের পাট চুকানোর পর এতদিন যুক্তরাষ্ট্র কিংবা চীনের ফুটবল লিগ গুলোতে যোগ দিতেন তারকা খেলোয়াড়রা। কাতারও ছিলো সেই তালিকায়। এখন নতুন করে যুক্ত হয়েছে সৌদি আরব।
মূলত ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে দিয়েই শুরু। পর্তুগিজ তারকাকে আল-নাসের কিনে নেওয়ার পর করিম বেনজেমাও যোগ দিয়েছেন আল-ইত্তিহাদে। লিওনেল মেসিকেও নেওয়ার চেষ্টা করেছিল সৌদির আরেক দল আল-হিলাল। লুকা মদ্রিচকেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বড় রকমের।
তবে শুধু ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে চলে আসা তারকাদের নিয়েই ক্ষান্ত হচ্ছে না সৌদি লিগের ক্লাবগুলো। এখনো ইউরোপের ফুটবলে খেলার সামর্থ্য রাখা খেলোয়াড়দের দিকেও হাত বাড়াচ্ছে তারা। চেলসির ফরাসি তারকা এনগোলো কান্তে, ম্যানচেস্টার সিটির আলজেরিয়ান উইঙ্গার রিয়াদ মাহরেজ, মাত্র ২৬ বছর বয়সী পর্তুগিজ তারকা রুবেন নেভেসকে দলে ভিড়িয়েছে সৌদির বিভিন্ন ক্লাব।
২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজন করার জন্য আবেদন করবে সৌদি আরব। তার আগেই নিজেদের ফুটবল অবকাঠামোকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যেই বড় বড় ফুটবল তারকাদের নিজেদের লিগে নিয়ে আসছে দেশটির সরকার।
বড় তারকাদের ইউরোপ ছাড়ার এমন হিড়িকে মোটেও বিচলিত নন উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্দার সেফেরিন। বরং এখানে সৌদি আরবের পরিকল্পনাতেই ভুল দেখছেন তিনি, 'আমি মনে করি, এটা সৌদি আরবের ফুটবলের ভুল। কারণ, তাদের এখন একাডেমিতে বিনিয়োগ করা উচিত, ভালো কোচ আনা উচিত, নিজেদের খেলোয়াড় তৈরি করা জরুরি। যেসব খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ার শেষ প্রান্তে, তাদের কিনে ফুটবল কাঠামোর উন্নতি করা যাবে না। এই ভুল চীনও করেছিল, ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে থাকা খেলোয়াড়দের কিনেছিল তারাও।'
২০১২ সালের দিকে চাইনিজ লিগের দলগুলো ইউরোপে খেলা শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়দের দলে ভিড়িয়েছিল। এর মধ্যে দিদিয়ের দ্রগবা, নিকোলাস আনেলকার মতো তারকারা ছিলেন। তবে নামী খেলোয়াড়দের দলে টেনেও লিগ বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খুব একটা এগোতে পারেনি চীন।
সৌদি প্রো লিগের দলগুলো ইউরোপে সেরা সময় পার করা খেলোয়াড়দের কিনছে উল্লেখ করে সেফেরিন বলেন, 'সেখানে যাওয়া একজন শীর্ষ খেলোয়াড়ের নাম বলুন দেখি, যার বয়স বেশি নয় কিংবা ক্যারিয়ার কেবল শুরু হয়েছে। এখানে অর্থই সব কিছু নয়। ফুটবলাররা সেরা প্রতিযোগিতায় খেলতে চায়, সেসব প্রতিযোগিতা জিততে চায়।'