স্টোকস বীরত্বের পরও হেরে গেল ইংল্যান্ড
২০১৯ অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টে একাই ইংল্যান্ডকে জিতিয়েছিলেন বেন স্টোকস। হেডিংলিতে সেই ম্যাচে এক উইকেটের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড। এবারের অ্যাশেজেও সেই হেডিংলি ফিরিয়ে আনতে আনতেও পারলেন না ইংল্যান্ড অধিনায়ক।
স্টোকসের দুর্ধর্ষ এক ইনিংস বিফলে গেল। এজবাস্টনের পর লর্ডসেও জিতে সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।
জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য ছিলো ৩৭১। চতুর্থ দিন শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১১৪ রান সংগ্রহ করে ইংলিশরা। শেষ দিনে জয়ের জন্য তাদের দরকার ছিলো ২৫৭ রান, অজিদের লাগতো ছয় উইকেট। আগের দিনের অপরাজিত দুই ব্যাটার ডাকেট এবং স্টোকস সকালটা বেশ ভালোই পার করেন।
এরপর বেন ডাকেট আউট হলে ভাঙে দুজনের ১৩৩ রানের জুটি। গতকাল ডাকেটের ক্যাচ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির পর আজ পঞ্চম দিন ঘটেছে আরো এক আলোচিত ঘটনা। গ্রিনের বাউন্সার কোনো রকমে সামাল দিয়ে বসে যান জনি বেয়ারস্টো। স্বাভাবিকভাবেই সতীর্থ স্টোকসের সঙ্গে কথা বলতে ক্রিজ থেকে বেরিয়ে আসেন বেয়ারস্টো।
সেই মুহূর্তেই বল ছুঁড়ে স্টাম্প ভাঙেন অজি উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারি। বেয়ারস্টো ভেবেছিলেন বল ডেড হয়ে গেছে। তবে আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাস টিভি রিভিউ দেখে স্টাম্পিং হিসেবে আউট ঘোষণা দেন।
ইংল্যান্ডের জয়ের আশা ক্ষীণ হয়ে যায় তখনই। আর এরপরই রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন স্টোকস। ১৩তম টেস্ট সেঞ্চুরির পর আরও ভয়ংকর হয়ে উঠেন স্টোকস। যতক্ষণ ব্যাটিং করছিলেন, জয়ের স্বপ্ন দেখছিল ইংল্যান্ড। সপ্তম উইকেটে জুটি গড়তে স্টোকসের সঙ্গে অবদান ছিল ব্রডেরও।
তবে স্টোকসকে ফিরিয়েই ম্যাচ কার্যত শেষ করে দেন জশ হ্যাজলউড। ২১৪ বলে ৯টি করে চার ও ছক্কায় ১৫৫ রান করেন ইংলিশ অধিনায়ক। ভেঙে যায় সপ্তম উইকেটে স্টোকস-ব্রডের ১২২ বলে ১০৮ রানের জুটি। ইংল্যান্ডের স্কোর তখন ৭ উইকেটে ৩০১ রান। যা মুহূর্তেই হয়ে যায় ৯ উইকেটে ৩০২ রান। ইংল্যান্ডের পরাজয় তখন অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়।
এরপর শেষ উইকেট জুটিতে ২৫ রান যোগ হলেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিলো না। ম্যাচসেরা হয়েছেন স্টিভ স্মিথ। প্রথম ইনিংসে ১১০ রান ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৪ রান করেন অস্ট্রেলিয়ার এই ব্যাটার।