বাঁচা-মরার ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে মাঝারি লক্ষ্য
সুপার ফোরে উঠতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি যেমন বাংলাদেশের জন্য বাঁচা-মরার ছিল, সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটিও তেমন। এশিয়া কাপে ফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে আজকের ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই সাকিব আল হাসান দলের। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশের বোলাররা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেন, লঙ্কানদের আটকে রাখলেন নাগালের মধ্যেই।
শনিবার কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৫৭ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। সুপার ফোরে তিন ম্যাচের প্রথমটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। তাই আজকের ম্যাচটি তাদের জন্য টিকে থাকার লড়াই। আজ জিতলে বেঁচে থাকবে ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা। কিন্তু হেরে গেলে শেষ মাচে জিতলেও আর লাভ হবে না।
টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব। বল হাতে শুরুটা দারুণ হয় বাংলাদেশের। প্রথম ওভারে উইকেট পাওয়ার উল্লাসেও মাতে তারা। পাথুম নিসাঙ্কার বিপক্ষে এলবিডব্লিউর আবেদন করেন তাসকিন আহমেদ, আম্পায়ার আউটও ঘোষণা করেন। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান লঙ্কান ওপেনার।
প্রথম সাফল্য আসে ষষ্ঠ ওভারে। অসাধারণ এক ডেলিভারিতে দিমুথ করুনারত্নেকে ফিরিয়ে দেন তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৭ বলে ১৮ রান করা করুনারত্নে। প্রথম উইকেট হারানোর চাপ সামলে দ্বিতীয় উইকেটে ৭৪ রানের জুটি গড়ে তোলেন নিসাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। ৬০ বলে ৪০ রান করা নিসাঙ্কাকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম।
টানা দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া কুশলকেও আর বেশি সময় টিকতে দেননি শরিফুল। বাঁহাতি এই পেসারের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৭৩ বলে ৫০ রান করেন কুশল। শুরু থেকেই ধুকতে থাকা চারিথ আসালাঙ্কাকে টিককে দেননি তাসকিন, ১০ রান করে ফেরেন তিনি। ২০ রান পর ধনঞ্জয়া ডি সিলভাও ফিরে যান, তাকে থামান হাসান।
এরপর বাকিটা সময় একাই লড়ে যান শ্রীলঙ্কার ইনিংসের সর্বোচ্চ রান করা সাদিরা সামারাবিক্রমা। অন্য প্রান্তে ভাঙনের সুর বাজতে থাকলেও অসাধারণ ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন, শেষ বল পর্যন্ত দাপট দেখান তিনি। ডানহাতি উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান ৭২ বলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৯৩ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলেন। অধিনায়ক দাসুন শানাকা করেন ২৪ রান।
শ্রীলঙ্কার যাওয়া ৯ উইকেটের ৮টিই নেন বাংলাদেশের পেসাররা, একটি রান আউট। তাসকিন ১০ ওভারে ৬২ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন। হাসানের শিকারও ৩ উইকেট, ৯ ওভারে ৫৭ রান দেন তিনি। শরিফুল ২ উইকেট নিতে ৮ ওভারে খরচা করেন ৪৮ রান। পেসাররাই কেবল উইকেট পেলেও রান আটকে রাখার কাজটি করেন তিন স্পিনার সাকিব, নাসুম ও মিরাজ।