আবারও নাজিবুল্লাহ ঝড়, জিতলো চট্টগ্রাম
লক্ষ্য বড় ছিল না, কিন্তু ছোট লক্ষ্য পাড়ি দিতে নেমেই ঘাম ছুটে গেল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলটি গুছিয়ে নিয়ে আবারও দিক হারায়। এক পাশ আগলে অবশ্য খেলে যান সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলা তানজিদ হাসান তামিম। আর শেষে ঝড় তোলেন প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রামের জয়ের নায়ক নাজিবুল্লাহ জাদরান। তার ব্যাটে শেষ পর্যন্ত আগেভাগেই জয় নিশ্চিত হয় চট্টগ্রামের।
সোমবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ম্যাচে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুর্দান্ত ঢাকাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তিন ম্যাচে এটা তাদের দ্বিতীয় জয়। সিলেটকে হারিয়ে বিপিএল শুরু করা দলটি নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে হার মানে। চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে শুরু করা ঢাকা দ্বিতীয় ম্যাচেই হারের স্বাদ পেল।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা দুর্দান্ত ঢাকা পুরো ইনিংস ধরে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ব্যাটিং করে। কনকাশন বদলি লাসিথ ক্রুসপুল ও ইরফান শুক্কুর ছাড়া কেউ-ই দলকে এগিয়ে নিতে পারেননি। দলটির মাত্র চারজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করেন। জবাবে পথ কঠিন হলেও তানজিদ ও নাজিবুল্লাহর ব্যাটে ১৮.২ ওভারে জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম। ব্যাট হাতে অবদান রাখেন শহাদাত হোসেন দিপুও।
লক্ষ্য তাড়ায় ২৮ রানে ২ উইকেট হারানো চট্টগ্রামকে ৮১ রানে পৌঁছে দেন কানজিদ ও শাহাদাত। তৃতীয় উইকেটে ৫৩ রান যোগ করেন তারা। শাহাদাত ২২ রান করে থামলেও আরও কিছুটা পথ পাড়ি দেন তানজিদ। বাঁহাতি এই ওপেনার ৪০ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৪৯ রান করেন। চট্টগ্রামের প্রথম ম্যাচে ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা নাজিবুল্লাহ আজ ১৯ বলে একটি চার ও ৩টি ছক্কায় হার না মানা ৩২ রান করেন। ঢাকার শরিফুল ইসলাম ২টি এবং তাসকিন আহমেদ ও ইসমান কাদির একটি করে উইকেট পান।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নামা ঢাকার শুরুটা ভালো ছিল না। রান তুলতে সংগ্রাম করতে থাকা লঙ্কান অলরাউন্ডার দানুশকা গুনাথিলাকা বলের আঘাতে মাঠ ছাড়েন। দ্বিতীয় ওভারে আল-আমিনের একটি ডেলিভারি তার থুতনিতে লাগে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাটিতে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান গুনাথিলাকা। ৯ বলে ১ রান করে স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়েন তিনি।
শুরুর চাপ কাটিয়ে ওঠার আগেই বিদায় নেন সাইফ হাসান। ৯ বলে ৯ রান করা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান আল-আমিনের বলে নাজিবুল্লাহ জাদরানের হাতে ক্যাচ দেন। ১১ রানেই সাজঘরে দুজন ব্যাটসম্যান, একটু পর ঢাকার বিপদ আরও বাড়ে। দলীয় ১৬ রানে ফিরে যান অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
আগের ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করা নাঈম শেখও আজ দলকে পথ দেখাতে পারেননি। ১১ বলে ৮ রান করে ফেরেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ২ রান পরই রান আউটে কাটা পড়েন ৯ বলে ১১ রান করা অ্যালেক্স রস। ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারানো দলটি লড়াই করে গুনাথিলাকার কনকাশন বদলি হিসেবে নামা লাসিথ ক্রুসপুল ও উইকেটরক্ষক ইরফান শুক্কুরের ব্যাটে।
ষষ্ঠ উইকেটে ৪৯ বলে ৭৩ রান করেন এ দুজন। ২৬ বলে ২টি চারে ২৭ রান করেন শুক্কুর। ক্রুসপুল ৩১ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ইনিংস সেরা ৪৬ রান করেন। শেষ দিকে ৯ বলে একটি চারে ১৫ রান করেন পেসার তাসকিন আহমেদ। চট্টগ্রামের আল-আমিন ও বিলাল খান ২টি করে উইকেট পান। একটি করে উইকেট নেন অধিনায়ক শুভাগত হোম, নিহাদুজ্জামান ও কার্টিস ক্যাম্ফার।